রাজ্যে সংক্রমণ বেড়েই চলেছে, বাড়ল অ্যাকটিভ রোগীও
রাজ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই সংক্রমণের একটা উর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এদিনও সংক্রমণ বেড়েছে। দীর্ঘদিন পর এদিন অ্যাকটিভ রোগী সংখ্যাও বাড়ল।
কলকাতা : মার্চ পড়ার পর থেকে রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ অধিকাংশ দিন ২০০-র ওপরই থেকেছে। এখন তা প্রতিদিনই একটু একটু করে বেড়ে চলেছে। এদিন সংক্রমিত হয়েছেন ২৭৭ জন। গত দিনের তুলনায় নমুনা পরীক্ষা এদিন কিছু কমেছে। নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৯ হাজার ৩৭৬টি।
সংক্রমিতের সংখ্যা থেকে রাজ্যে করোনার উর্ধ্বমুখী প্রবণতা স্পষ্ট। রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৭৭ হাজার ৭৮৮ জন।
এদিন রাজ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। দীর্ঘদিন রাজ্যে সামান্য হলেও প্রতিদিন অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমছিল। এদিন সেই ধারাবাহিকতা ভাঙল। এদিন বাড়ল অ্যাকটিভ রোগী। বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ১৩৩ জনে।
মার্চের প্রথম দিনেই রাজ্যে মৃত্যু শূন্যে নেমেছিল। এদিন রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। আগের দিনের চেয়ে ২ জন কম মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে রাজ্যে এখন মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২৮৭ জনে।
গত একদিনে রাজ্যে করোনায় যে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে তিনি কলকাতার বাসিন্দা ছিলেন। রাজ্যের অন্যতম করোনা বিধ্বস্ত জেলা কলকাতায় একমাত্র মৃত্যুটি ঘটেছে। রাজ্যের অন্য কোনও জেলায় আর মৃত্যু হয়নি।
ক্রমশ কমতে থাকা মৃতের সংখ্যার জেরে এখন মানুষ অনেকটা স্বস্তিতে বাড়ির বাইরে কাজে বার হচ্ছেন। তবে অনেকের মুখে মাস্ক না থাকা কিছুটা হলেও চিন্তার কারণ হচ্ছে।
করোনা বিধি পালন নিয়ে সাধারণ মানুষের ঢিলেঢালা মানসিকতা দেশে অচিরেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ডেকে আনতে পারে বলে সতর্ক করেছে আইসিএমআর।
রাজ্যে একই সঙ্গে অনেক রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত একদিনে ২৫৩ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন।
যার হাত ধরে এদিন রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৬৪ হাজার ৩৬৮ জন। সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের হাত ধরে কিন্তু এদিন সুস্থতার হার বাড়েনি। সুস্থতার হার ৯৭.৬৮ শতাংশেই থমকে রয়েছে। রাজ্যে টিকাকরণ চলছে। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা