রাজ্যে সংক্রমণ আরও বাড়ল, বাড়ল মৃত্যুও
রাজ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই সংক্রমণের একটা উর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এদিনও সংক্রমণ গত দিনের তুলনায় বেড়েছে। এদিন বেড়েছে দৈনিক মৃত্যুও।
কলকাতা : মার্চ পড়ার পর থেকে রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ অধিকাংশ দিন ২০০-র ওপরই থেকেছে। এখন তা প্রতিদিনই একটু একটু করে বেড়ে চলেছে। এদিন সংক্রমিত হয়েছেন ২৮৩ জন। গত দিনের তুলনায় নমুনা পরীক্ষা এদিন হাজার সাড়ে তিন বেড়েছে।
নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২১ হাজার ১৭৮টি। সংক্রমিতের সংখ্যা থেকে রাজ্যে করোনার উর্ধ্বমুখী প্রবণতা স্পষ্ট। রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৭৮ হাজার ৩৪৭ জন।
এদিন রাজ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। দীর্ঘদিন রাজ্যে সামান্য হলেও প্রতিদিন অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমছিল। এখন কিন্তু উল্টো হচ্ছে। এদিন বাড়ল অ্যাকটিভ রোগী। বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ১৪৩ জনে।
মার্চের প্রথম দিনেই রাজ্যে মৃত্যু শূন্যে নেমেছিল। এদিন রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। আগের দিনের চেয়ে ৩ জন বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে রাজ্যে এখন মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২৯২ জনে।
গত একদিনে রাজ্যে করোনায় যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে রাজ্যের অন্যতম করোনা বিধ্বস্ত ২ জেলা কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা রয়েছে। কলকাতায় ১ জন ও উত্তর ২৪ পরগনায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া করোনাকালে হাওড়াও প্রবলভাবে করোনা বিধ্বস্ত ছিল। সেই হাওড়ায় ফের বাড়ছে করোনা। এদিন ১ জনের মৃত্যুও হয়েছে। রাজ্যের আর কোনও জেলায় মৃত্যু হয়নি।
কমতে থাকা মৃত্যু সংখ্যার জেরে এখন মানুষ অনেকটা স্বস্তিতে বাড়ির বাইরে কাজে বার হচ্ছেন। তবে অনেকের মুখে মাস্ক না থাকা কিছুটা হলেও চিন্তার কারণ হচ্ছে।
করোনা বিধি পালন নিয়ে সাধারণ মানুষের ঢিলেঢালা মানসিকতা দেশে অচিরেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ডেকে আনতে পারে বলে সতর্ক করেছে আইসিএমআর।
রাজ্যে একই সঙ্গে অনেক রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত একদিনে ২৭৫ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। যার হাত ধরে এদিন রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৬৪ হাজার ৯১২ জন।
সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের হাত ধরে কিন্তু এদিনও সুস্থতার হার বাড়েনি। সুস্থতার হার ৯৭.৬৮ শতাংশেই থমকে রয়েছে। টানা ৪ দিন একই জায়গায় দাঁড়িয়ে রইল সুস্থতার হার। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা