রাজ্যে থমকাল সংক্রমণ, মৃত্যু বাড়ল
রাজ্যে একদিন আগেই এক লাফে ১ হাজার ৭০০ পার করে গিয়েছিল সংক্রমণ। এদিন সংক্রমণেও ঠিক সেই পরিস্থিতি বজায় রইল। মৃত্যু অবশ্য বেড়েছে।

কলকাতা : মার্চ জুড়েই শুরু হয়েছিল সংক্রমণ বৃদ্ধি। এপ্রিলে তা লাফ দিতে শুরু করে। তবে তৃতীয় দিনে সংক্রমণ থমকে দাঁড়াল। গত একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ৭৩৬ জন। গতদিন তা ছিল ১ হাজার ৭৩৩ জন। এদিন নমুনা পরীক্ষা গত দিনের তুলনায় সামান্য কমেছে। রাজ্যে এদিন মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৬ হাজার ১১৪টি।
রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৯১ হাজার ৬৫৮ জন। এদিনও রাজ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। দীর্ঘদিন রাজ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমছিল। এখন কিন্তু টানা ঠিক উল্টো হচ্ছে।
এদিনও বাড়ল অ্যাকটিভ রোগী। এদিন অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে এক লাফে ৯ হাজারের দরজায় পৌঁছে গেল রাজ্যে। অ্যাকটিভ রোগী দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৮৪৪ জনে।
এপ্রিলে সংক্রমণে লাফের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যে করোনায় দৈনিক মৃত্যুও বাড়ছে। এদিন রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। আগের দিনের চেয়ে ১ জন বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে রাজ্যে এখন মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩৪০ জনে।
গত একদিনে রাজ্যে করোনায় যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে রাজ্যের অন্যতম করোনা বিধ্বস্ত ২ জেলা কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা রয়েছে। কলকাতায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনাতেও ২ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। অন্য একটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে হুগলিতে। আর কোনও জেলায় মৃত্যু হয়নি।
ক্রমশ কমতে থাকা মৃত্যুর সংখ্যার জেরে এখন মানুষ অনেকটা স্বস্তিতে বাড়ির বাইরে কাজে বার হচ্ছেন। তবে অনেকের মুখে মাস্ক না থাকা কিছুটা হলেও চিন্তার কারণ হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। কিছু মানুষের করোনা বিধি পালনে অনীহা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে বলেই আশঙ্কা করছে খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
রাজ্যে একই সঙ্গে অনেক রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত একদিনে ৫৭৯ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। যার হাত ধরে এদিন রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৭২ হাজার ৪৭৪ জন। সুস্থতার হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯৬.৭৬ শতাংশ। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা