Kolkata

মরসুমের প্রথম কালবৈশাখী, শরীর জুড়িয়ে ক্ষণিকের স্বস্তি

অবশেষে এল কালবৈশাখী। সেই তাণ্ডবের রূপ না থাকলেও বইল ঝোড়ো হাওয়া। সঙ্গে হাল্কা বৃষ্টি। আর তাতেই শরীর জুড়িয়ে ক্ষণিকের স্বস্তি পেলেন সকলে।

কলকাতা : কলকাতা সহ আশপাশের জেলাগুলিতে যে কালবৈশাখী হতে পারে তার পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। মিলেও গেল সেই পূর্বাভাস। রবিবারের অলস বিকেলের শেষে বইতে শুরু করে ঠান্ডা দাপুটে হাওয়া। ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে অনেকেই ঘরের দরজা, জানালা বন্ধ করে দেন।

পূর্বাভাস থাকায় ঝোড়ো হাওয়া বইতেই সকলে বুঝে যান কালবৈশাখী ধেয়ে আসছে। ধেয়ে এল বটে। তবে সেই প্রাবল্য ছিলনা ঝড়ে। তাতে অবশ্য কিছু যায় আসেনি। শরীরটা ঠান্ডা হাওয়া জুড়িয়ে দেয়। তাতেই শান্তি মেলে ক্ষণিকের জন্য।


গত কয়েকদিন ধরেই প্রবল গরমে পুড়েছেন মানুষজন। চৈত্র মাসের গরম সকলের চেনা। এবার কিন্তু সেই চেনা গরমকে ছাপিয়ে গা জ্বালানো গরমে পুড়ছিল চারদিক। তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রিতে চৈত্র মাসেই পৌঁছে যায়। গত কদিনে ৩৮ বা ৩৭ ডিগ্রিতে থাকছিল কলকাতার পারদ। সেখান থেকে কবে মুক্তি মিলবে তা জানতে মুখিয়ে ছিলেন সকলে।

চৈত্র শেষ হতে চলল, তাও কালবৈশাখীর দেখা নেই, এটাও অবাক করছিল সকলকে। অবশেষে সেই কালবৈশাখী এল। রবিবারের ক্লান্ত বিকেলে গরমে নাজেহাল মানুষের শরীর জুড়িয়ে ঠান্ডা হাওয়া বইল। হল হাল্কা বৃষ্টিও। যা সন্ধের পরিবেশে একদম বদলে দেয়।


এমন একটা সন্ধে অনেকদিন পর পেলেন মানুষজন। ফলে সন্ধেয় ঘরের জানালা, দরজা খুলে এই শীতল পরশ গায়ে মেখেছেন অনেকেই। শরীরের সঙ্গে সঙ্গে এদিনের এই হাল্কা কালবৈশাখী মনও জুড়িয়ে দিয়েছে।

বৈশাখ পড়তে আর কটা দিন বাকি। তার আগে মরসুমের প্রথম কালবৈশাখী আনন্দ দিয়েছে সকলকে। কালবৈশাখী শুরু হল দেরিতে ঠিকই, কিন্তু তা এবার মাঝেমধ্যেই হলে ভাল হয়, এমনটাই চাইছেন তাঁরা। সে সম্বন্ধে অবশ্য কোনও পূর্বাভাস এখনও নেই।

তবে কালবৈশাখী একবার শুরু হলে তারপর মোটামুটি তার ধারাবাহিকতা থাকে বলেই গত কয়েক বছরে দেখা গেছে। গত বছরও করোনার জেরে গৃহবন্দি মানুষ পরপর কালবৈশাখী পেয়েছিলেন। এবারও তেমনই হোক চাইছেন সকলে।

Show Full Article
Back to top button