চিন্তা বাড়িয়ে রাজ্যে ২ হাজারের দরজায় সংক্রমণ
রাজ্যে এবার বাড়তে বাড়তে ২ হাজারের দরজায় পৌঁছে গেল একদিনে সংক্রমণ। এভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের চিন্তার ভাঁজ পুরু করছে।
কলকাতা : মার্চ জুড়েই শুরু হয়েছিল সংক্রমণ বৃদ্ধি। এপ্রিলে তা লাফ দিতে শুরু করে। গত একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ৯৫৭ জন। ফলে ২ হাজারের দরজায় পৌঁছে গেল সংক্রমণ।
এদিন নমুনা পরীক্ষা গত দিনের তুলনায় সামান্য বেড়েছে। রাজ্যে এদিন মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৬ হাজার ৭৬৮টি। রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৯৩ হাজার ৬১৫ জন।
এদিনও রাজ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। দীর্ঘদিন রাজ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমছিল। এখন কিন্তু টানা ঠিক উল্টো হচ্ছে। এদিনও বাড়ল অ্যাকটিভ রোগী।
এদিন অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে এক লাফে ১০ হাজার পার করল। অ্যাকটিভ রোগী দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ১৫৩ জনে।
এদিন রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। আগের দিনের চেয়ে ১ জন কম মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে রাজ্যে এখন মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩৪৪ জনে।
গত একদিনে রাজ্যে করোনায় যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে তারমধ্যে রাজ্যের অন্যতম করোনা বিধ্বস্ত ২ জেলা কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা রয়েছে। কলকাতায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনায় ১ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। অন্য একটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানে। আর কোনও জেলায় মৃত্যু হয়নি।
ক্রমশ কমতে থাকা মৃতের সংখ্যার জেরে এখন মানুষ অনেকটা স্বস্তিতে বাড়ির বাইরে কাজে বার হচ্ছেন। তবে অনেকের মুখে মাস্ক না থাকা কিছুটা হলেও চিন্তার কারণ হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। কিছু মানুষের করোনা বিধি পালনে অনীহা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে বলেই আশঙ্কা করছে খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
রাজ্যে একই সঙ্গে অনেক রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত একদিনে ৬৪৪ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। যার হাত ধরে এদিন রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৭৩ হাজার ১১৮ জন। সুস্থতার হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯৬.৫৫ শতাংশ। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা