রাজ্যে দুদিন ধরে ২ হাজারের দরজায় সংক্রমণ
রাজ্যে সংক্রমণ বাড়তে বাড়তে আগের দিনই ২ হাজারের দরজায় পৌঁছে গিয়েছিল। এদিনও একই জায়গায় দাঁড়িয়ে রইল সংক্রমণ। কমল সুস্থতার হার।
কলকাতা : মার্চ জুড়েই শুরু হয়েছিল সংক্রমণ বৃদ্ধি। এপ্রিলে তা লাফ দিতে শুরু করে। আগের দিন সংক্রমিত হয়েছিলেন ১ হাজার ৯৫৭ জন। ফলে ২ হাজারের দরজায় পৌঁছে যায় সংক্রমণ। এদিন প্রায় সেই একই সংখ্যক সংক্রমিতের খোঁজ মিলেছে রাজ্যে। একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ৯৬১ জন।
এদিন নমুনা পরীক্ষা গত দিনের তুলনায় সামান্য কমেছে। রাজ্যে এদিন মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৬ হাজার ১৭৪টি। রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫৭৬ জন।
এদিনও রাজ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। দীর্ঘদিন রাজ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমছিল। এখন কিন্তু ঠিক উল্টো হচ্ছে। এদিনও বাড়ল অ্যাকটিভ রোগী। এদিন অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৪৪৬ জনে।
এদিন রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। আগের দিনও একই সংখ্যক মানুষের প্রাণ কেড়েছিল করোনা। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে রাজ্যে এখন মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩৪৮ জনে।
গত একদিনে রাজ্যে করোনায় যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে রাজ্যের অন্যতম করোনা বিধ্বস্ত ২ জেলা কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা রয়েছে। কলকাতায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনাতেও ১ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এছাড়া হাওড়া ও পশ্চিম বর্ধমানে ১ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়। আর কোনও জেলায় মৃত্যু হয়নি।
ক্রমশ কমতে থাকা মৃত্যুর সংখ্যার জেরে এখন মানুষ অনেকটা স্বস্তিতে বাড়ির বাইরে কাজে বার হচ্ছেন। তবে অনেকের মুখে মাস্ক না থাকা কিছুটা হলেও চিন্তার কারণ হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। কিছু মানুষের করোনা বিধি পালনে অনীহা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে বলেই আশঙ্কা করছে খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
রাজ্যে একই সঙ্গে অনেক রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত একদিনে ৬৬৪ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। যার হাত ধরে এদিন রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৭৩ হাজার ৭৮২ জন। সুস্থতার হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯৬.৩৪ শতাংশ। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা