রাজ্যে ৬ লক্ষ পার করল সংক্রমণ
আরও বাড়ল রাজ্যে সংক্রমণ। কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় বাড়ছে সবচেয়ে বেশি। তুলনায় উত্তরের জেলাগুলিতে সংক্রমণ কম।
কলকাতা : মার্চ জুড়েই শুরু হয়েছিল সংক্রমণ বৃদ্ধি। এপ্রিলে তা লাফ দিতে শুরু করে। এখন কার্যত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। গত একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৩৯০ জন। এদিন নমুনা পরীক্ষা গত দিনের সঙ্গে হুবহু মিলে গেছে। এদিন মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৯ হাজার ৩৯৪টি। গত দিনও এই সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা দেখেছিলেন রাজ্যবাসী।
রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এদিন ৬ লক্ষ পার করেছে। দাঁড়িয়েছে ৬ লক্ষ ২৪ জন। এদিনও রাজ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। দীর্ঘদিন রাজ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমছিল। এখন কিন্তু টানা ঠিক উল্টো হচ্ছে। এদিনও বাড়ল অ্যাকটিভ রোগী। এদিন অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৯০ জনে।
এদিন রাজ্যে দৈনিক মৃত্যুও বেড়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। আগের দিনের চেয়ে ১ জন বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে রাজ্যে এখন মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩৬৩ জনে।
গত একদিনে রাজ্যে করোনায় যে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে রাজ্যের অন্যতম করোনা বিধ্বস্ত ২ জেলা কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা রয়েছে। কলকাতায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনাতেও ৩ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এছাড়া হাওড়া ও পশ্চিম বর্ধমানে ১ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়। আর কোনও জেলায় মৃত্যু হয়নি।
ইতিমধ্যেই দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। এই সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের মধ্যেও বহু মানুষ মুখে মাস্ক ছাড়াই রাস্তায় ঘুরছেন। মানুষের করোনা বিধি পালনে অনীহা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে বলেই আশঙ্কা করছে খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
রাজ্যে একই সঙ্গে অনেক রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত একদিনে ৮৬৭ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। যার হাত ধরে এদিন রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৭৫ হাজার ৩৭১ জন। সুস্থতার হার কমে ৯৫ শতাংশের ঘরে নেমে গেছে। দাঁড়িয়েছে ৯৫.৮৯ শতাংশ। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা