রাজ্যে সাড়ে ৩ হাজার পার সংক্রমণ
রাজ্যে সাড়ে ৩ হাজারের গণ্ডিও পার করে গেল একদিনে সংক্রমণ। করোনা কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় বাড়ছে সবচেয়ে বেশি। তুলনায় উত্তরের জেলাগুলিতে সংক্রমণ কম।
মার্চ জুড়েই শুরু হয়েছিল সংক্রমণ বৃদ্ধি। এপ্রিলে তা লাফ দিতে শুরু করে। এখন কার্যত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। গত একদিনে সাড়ে ৩ হাজার তো পার করেছেই, তার সঙ্গে ৩ হাজার ৬০০-ও পার করে গেছে সংক্রমণ। সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ৬৪৮ জন।
এদিন নমুনা পরীক্ষা গত দিনের তুলনায় প্রায় ৩ হাজার বেড়েছে। এদিন মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৬ হাজার ১১৭টি। এদিনও রাজ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
দীর্ঘদিন রাজ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমছিল। এখন কিন্তু টানা ঠিক উল্টো হচ্ছে। এদিনও বাড়ল অ্যাকটিভ রোগী। এদিন অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬০৩ জনে।
এদিন রাজ্যে দৈনিক মৃত্যুও বেড়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। আগের দিনের চেয়ে ১ জন বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে রাজ্যে এখন মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩৭৮ জনে।
গত একদিনে রাজ্যে করোনায় যে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে রাজ্যের অন্যতম করোনা বিধ্বস্ত জেলা কলকাতাতেই মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। যা গত কয়েক মাসে কলকাতায় একদিনের মৃত্যুর নিরিখে সর্বাধিক।
অন্য করোনা বিধ্বস্ত জেলা উত্তর ২৪ পরগনায় কোনও মৃত্যুর খবর গত একদিনে নেই। কলকাতা ছাড়া হাওড়া ও মুর্শিদাবাদে ১ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়। আর কোনও জেলায় মৃত্যু হয়নি।
ইতিমধ্যেই দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। এই সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের মধ্যেও বহু মানুষ মুখে মাস্ক ছাড়াই রাস্তায় ঘুরছেন। মানুষের করোনা বিধি পালনে অনীহা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে বলেই আশঙ্কা করছে খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
রাজ্যে একই সঙ্গে অনেক রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত একদিনে ১ হাজার ১৪৬ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। যার হাত ধরে এদিন রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৭৭ হাজার ৪৭৪ জন। সুস্থতার হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯৫.২২ শতাংশ। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা