রাজ্যে একদিনে সংক্রমিত প্রায় ৫ হাজার
রাজ্যে একদিনে সংক্রমণ পৌঁছে গেল প্রায় ৫ হাজারের দরজায়। কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় করোনার বাড়বাড়ন্ত সবচেয়ে বেশি। মৃত্যুও বাড়ল অনেকটা।
মার্চ জুড়েই শুরু হয়েছিল সংক্রমণ বৃদ্ধি। এপ্রিলে তা লাফ দিতে শুরু করে। এখন কার্যত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। গত একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা প্রায় ৫ হাজারের কাছে পৌঁছে গেল।
সংক্রমিত হয়েছেন ৪ হাজার ৮১৭ জন। রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লক্ষ ২৪ হাজার ২২৪ জনে। এদিন নমুনা পরীক্ষা গত দিনের তুলনায় ৫ হাজারের ওপর বেড়েছে।
এদিন মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪২ হাজার ২১৪টি। এদিনও রাজ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। দীর্ঘদিন রাজ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমছিল।
এখন কিন্তু টানা ঠিক উল্টো হচ্ছে। এদিনও বাড়ল অ্যাকটিভ রোগী। এদিন অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৫০ জনে।
এদিন রাজ্যে দৈনিক মৃত্যু গত দিনের তুলনায় বেড়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। আগের দিনের চেয়ে ৬ জন বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে রাজ্যে এখন মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৪৩৪ জনে।
গত একদিনে রাজ্যে করোনায় যে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে রাজ্যের অন্যতম ২ করোনা বিধ্বস্ত জেলা কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা রয়েছে। কলকাতা মৃত্যুতে ২ অঙ্কে পৌঁছে গেছে।
কলকাতায় একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। অন্য করোনা বিধ্বস্ত জেলা উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। এছাড়া হাওড়ায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।
হুগলিতেও মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। পশ্চিম বর্ধমানে ১ জন মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়। আর কোনও জেলায় মৃত্যু হয়নি।
ইতিমধ্যেই দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। এই সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের মধ্যেও বহু মানুষ মুখে মাস্ক ছাড়াই রাস্তায় ঘুরছেন।
মানুষের করোনা বিধি পালনে অনীহা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে বলেই আশঙ্কা করছে খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
রাজ্যে একই সঙ্গে অনেক রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত একদিনে ২ হাজার ২৭৮ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন।
যার হাত ধরে এদিন রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৮৪ হাজার ৭৪০ জনে। সুস্থতার হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯৩.৬৭ শতাংশ। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা