রাজ্যে সামান্য বাড়ল সংক্রমণ, সামান্য কমল মৃত্যু
রাজ্যে একদিনে সংক্রমণ গতদিনের মতই প্রায় রয়ে গেল। বেড়েছে সামান্যই। নমুনা পরীক্ষা অবশ্য অনেকটা বেড়েছে এদিন। এদিকে রাজ্যে দৈনিক মৃত্যু রয়ে গেল প্রায় একই জায়গায়।
রাজ্যে হুহু করে বাড়ছে সংক্রমণ। গত একদিনে রাজ্যে নতুন সংক্রমিত অবশ্য প্রায় গত দিনের মতই হয়েছে। সামান্য বেড়েছে সংক্রমিতের সংখ্যা। গত একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ১৯ হাজার ৪২৮ জন। রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লক্ষ ৭১ হাজার ৮৬১ জনে।
এদিন নমুনা পরীক্ষাও গত দিনের তুলনায় সাড়ে ৭ হাজার বেড়েছে। পরীক্ষা হয়েছে ৬৭ হাজার ৬২৬টি। রাজ্যে এদিনও ফের বাড়ল অ্যাকটিভ রোগী। এদিন অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৭৯৩ জনে।
এদিন রাজ্যে দৈনিক মৃত্যু গত দিনের তুলনায় সামান্য কমেছে। গত দিনের তুলনায় ২ জন কম মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
এদিন মৃত্যু হয়েছে ১৪৫ জনের। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে রাজ্যে এখন মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৫৭৬ জনে।
গত একদিনে রাজ্যে করোনায় যে ১৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে রাজ্যের অন্যতম ২ করোনা বিধ্বস্ত জেলা কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
শুধু কলকাতাতেই একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের। উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয়েছে ১৩ জন মানুষের।
এছাড়া দার্জিলিংয়ে ৯ জনের, হুগলিতে ৮ জনের, হাওড়ায় ৭ জনের, বীরভূমে ৭ জনের ও উত্তর দিনাজপুরে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জলপাইগুড়ি ও পশ্চিম বর্ধমানে ৫ জন করে মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা। পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩ জন মানুষের প্রাণ গেছে।
২ জন করে মানুষের মৃত্যু হয়েছে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া ও বাঁকুড়ায়। ১ জন করে প্রাণ হারিয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর ও পূর্ব মেদিনীপুরে।
রাজ্যে একই সঙ্গে অনেক রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত একদিনে ১৯ হাজার ৫০ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
এর হাত ধরে এদিন রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ১০ লক্ষ ২৬ হাজার ৪৯২ জন। সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৭.৬০ শতাংশ। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা