মমতার জন্য ভবানীপুরের বিধায়ক পদ ছাড়লেন শোভনদেব
ভবানীপুরের বিধায়ক পদ ছাড়লেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ঘোষণা না হলেও এটাই জানা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভবানীপুর থেকে জিতিয়ে আনতেই এই পদক্ষেপ।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে তৃতীয়বারের মত শপথ নিয়ে কাজ শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার জন্য তাঁর বিধায়ক হওয়া জরুরি। অথচ নন্দীগ্রাম থেকে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছেন মমতা।
তাই নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদ ধরে রাখতে ৬ মাসের মধ্যে অন্য কোনও আসন থেকে জিতে আসতে হবে। এবার তাঁর সেই পথ পরিস্কার করে দিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসন ভবানীপুর তাঁকেই কার্যত ফিরিয়ে দিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
শুক্রবার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে শোভনদেববাবু তাঁর ইস্তফাপত্র জমা দেন। ভবানীপুরের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। সেই ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেন স্পিকার।
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বর্তমানে শুধু বিধায়কই নন, রাজ্যের কৃষিমন্ত্রীও। শোভনদেববাবু জানিয়েছেন তিনি কোনও চাপের মুখে ইস্তফা দেননি। তিনি চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী থাকুন। ভবানীপুর থেকে জিতে আসুন তিনি।
শোভনদেববাবু এও জানান, তিনি দলের এক একনিষ্ঠ কর্মী। তাঁকে যখন যে আসনই দেওয়া হয়েছে দলের তরফে তিনি সেখান থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ভবানীপুর থেকে প্রার্থী হবেন একথা তৃণমূলের তরফে ঘোষণা না করা হলেও তৃণমূল সূত্রে তেমনই জানা গিয়েছে। তাহলে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কী হবে? তিনি কী মন্ত্রিত্ব চালিয়ে যাবেন?
যেতেই পারেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে তাঁকেও এবার আগামী ৬ মাসের মধ্যে অন্য কোনও আসন থেকে জিতে আসতে হবে। এমনও কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে যে তৃণমূল শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে রাজ্যসভার সাংসদ করে পাঠাতে চলেছে। তাই শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কী হবে তা সময়ই বলে দেবে।