কালো মেঘ, দমকা বাতাস, বৃষ্টি, দমবন্ধ গরম থেকে প্রাণ জুড়োনো রেহাই
গত ২ দিনে একটা দমবন্ধ করা অসহ্য গরম মানুষকে তিষ্ঠতে দিচ্ছিল না। অবশেষে সারাদিনের কষ্টকর গরমের পর এদিন বিকেল নামতেই আকাশ ঢাকল কালো মেঘে।
বর্ষা দরজায় কড়া নাড়ছে। কিন্তু তার আগে এক দমবন্ধ করা গরমে নাজেহাল কলকাতা থেকে দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা। গত ২ দিন ধরেই একটা প্রবল কষ্টকর গরম নাজেহাল করে ছাড়ছিল সকলকে।
শনিবার সারাদিনও প্রবল গরম ছিল। ফ্যানের তলায় বসেও ঘাম হচ্ছিল। কিছুতেই যেন গরমটা থেকে রেহাই মিলছিল না।
এমন অবস্থা সারাদিন চলার পর এদিন বিকেলে আকাশের দিকে চেয়ে যেন প্রাণ ফিরে পান সকলে। একটা কালো মেঘ ক্রমশ বিকেলের আকাশটাকে ঢেকে ফেলে। শুরু হয় বিদ্যুতের ঝলকানি।
সেইসঙ্গে প্রাণ জুড়োনো একটা ঠান্ডা দমকা বাতাস বইতে শুরু করে। যা সারাদিনের হাঁসফাঁস গরমে তেতে ওঠা শরীরটাকে যেন ভিতর থেকে জুড়িয়ে দিতে থাকে। মনে হয় যেন শরীরে জমে থাকা অনেক উত্তাপ হুহু করে উড়ে যাচ্ছে ওই দমকা হাওয়ার সঙ্গে।
করোনা নিয়ে কড়াকড়ির জেরে এখন বহু মানুষই বাড়িতে। এদিন বিকেলে তাঁদের অনেককেই ছাদে দেখতে পাওয়া যায়। ঠান্ডা হাওয়ায় তঁরা জুড়িয়ে নেন শরীরটা।
কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ছড়িয়ে পড়া এই কালো মেঘ থেকে অনেক জায়গাতেই বৃষ্টি হয়। দীর্ঘক্ষণ না হলেও কয়েক পশলা বৃষ্টি অনেকটাই পরিবেশ বদলে দিয়েছে।
এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৬ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি বেশি। তবে বিকেলের পর আবহাওয়া অনেকটাই বদলে যায়।
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটা নিম্নচাপ তৈরির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। যা ১১ জুন এ রাজ্যে বৃষ্টি ঘটাতে পারে। আর তার হাত ধরেই এ রাজ্যে ঢুকে পড়বে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু।
যার সহজ অর্থ হল ১১ জুন এ রাজ্যে বর্ষা ঢুকতে চলেছে বলে মনে করছেন আবহবিদেরা। সেক্ষেত্রে অন্য অনেক বছরের চেয়ে আগেই বর্ষা প্রবেশ করবে এ রাজ্যে।
এমনকি পূর্বাভাস বলছে নিম্নচাপের হাত ধরে বর্ষা যেমন প্রবেশ করবে রাজ্যে, তেমনই পশ্চিমবঙ্গ ও তার আশপাশের রাজ্যগুলিতে নিম্নচাপের প্রভাবে ভাল বৃষ্টিও হবে।