রাজ্যে সামান্য কমল সংক্রমণ, বাড়ল অ্যাকটিভ রোগী
রাজ্যে একদিনে করোনা সংক্রমণ গত দিনের তুলনায় ফের কমল। নমুনা পরীক্ষা বাড়লেও সংক্রমণ কমা অবশ্যই স্বস্তির বার্তা এনে দিয়েছে। তবে অ্যাকটিভ রোগী গত একদিনে বেড়েছে।
রাজ্যে প্রায় লকডাউন ঘোষণার সুফল পাওয়া যাচ্ছে। গত একদিনে রাজ্যে নতুন সংক্রমিত গত দিনের সাপেক্ষে কমেছে। গত একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ৫ হাজার ২৭৪ জন। রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লক্ষ ৪৮ হাজার ১০৪ জনে।
এদিন নমুনা পরীক্ষা গত দিনের তুলনায় প্রায় ২ হাজার বেড়েছে। এদিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৬ হাজার ২৫৭টি। রাজ্যে দীর্ঘদিন অ্যাকটিভ রোগী কমার পর এদিন কিন্তু ফের অ্যাকটিভ রোগী বেড়েছে। এদিন ১৭ জন অ্যাকটিভ রোগী বেড়েছে। এক ধাক্কায় একদিনে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা অনেক কমে যাওয়ায় এমনটা হয়েছে।
এদিন রাজ্যে দৈনিক মৃত্যু গত দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। গত একদিনে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৮৭ জনের। গত দিনের তুলনায় এদিন ৮ জন কম মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে রাজ্যে এখন মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৬৪২ জনে।
গত একদিনে রাজ্যে করোনায় যে ৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে রাজ্যের অন্যতম ২ করোনা বিধ্বস্ত জেলা কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
শুধু কলকাতায় একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। এছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৬ জন মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়।
৪ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, নদিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি ও মুর্শিদাবাদে মারা গেছেন ৩ জন করে মানুষ।
২ জন করে মারা গেছেন পূর্ব বর্ধমান ও বাঁকুড়ায়। ১ জন করে প্রাণ হারিয়েছেন উত্তর দিনাজপুর, পুরুলিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর ও হাওড়ায়।
রাজ্যে একই সঙ্গে অনেক রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। তবে গত একদিনে এক ধাক্কায় অনেক কমেছে একদিনে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা।
আগের দিন যেখানে ১০ হাজার ৫১২ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন সেখানে এদিন সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫ হাজার ১৭০ জন।
যার হাত ধরে এদিন রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ১৪ লক্ষ ১৬ হাজার ৭৪৩ জন। সুস্থতার হার গতদিনের সংখ্যা ৯৭.৮৩ শতাংশেই দাঁড়িয়ে আছে। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা
