রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ৪ হাজারের নিচে, সুস্থতার হার কমল
রাজ্যে একদিনে করোনা সংক্রমণ গত দিনের তুলনায় আরও কমে ৪ হাজারের নিচে নামল। এদিকে সংক্রমণ নামতে থাকলেও অ্যাকটিভ রোগী গত একদিনে ফের অনেকটা বেড়েছে।
রাজ্যে প্রায় লকডাউন ঘোষণার ১ মাস প্রায় হতে চলল। যার সুফল পাওয়া যাচ্ছে। গত একদিনে রাজ্যে নতুন সংক্রমিত গত দিনের সাপেক্ষে কমেছে। এদিন ৪ হাজারের নিচে নেমেছে দৈনিক সংক্রমণ।
গত একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৮৪ জন। রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লক্ষ ৬১ হাজার ২৫৭ জনে।
এদিন নমুনা পরীক্ষা গত দিনের তুলনায় প্রায় ২ হাজার কমেছে। এদিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬০ হাজার ১১৩টি।
রাজ্যে দীর্ঘদিন অ্যাকটিভ রোগী কমার পর টানা ৪ দিন অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়ল। রাজ্যে মোট অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৬৫১ জন। ১৪ হাজারে নেমে আসা সংখ্যাটা এবার ১৭ হাজারে ঢুকে পড়ল।
এদিন রাজ্যে দৈনিক মৃত্যু গত দিনের তুলনায় বেড়েছে। গত একদিনে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৮৪ জনের। গত দিনের তুলনায় এদিন ৩ জন বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে রাজ্যে এখন মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৮৯৬ জনে।
গত একদিনে রাজ্যে করোনায় যে ৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে রাজ্যের অন্যতম ২ করোনা বিধ্বস্ত জেলা কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
শুধু কলকাতায় গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। এছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৯ জন, হাওড়ায় ৯ জন ও দার্জিলিংয়ে ৫ জন মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়।
৪ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে নদিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও হুগলিতে। মুর্শিদাবাদে মারা গেছেন ৩ জন মানুষ। ২ জন করে মানুষের মৃত্যু হয়েছে জৱপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ও বাঁকুড়ায়। ১ জন করে প্রাণ হারিয়েছেন বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম বর্ধমানে।
রাজ্যে একই সঙ্গে অনেক রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। তবে গত একদিনে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের চেয়ে কম হয়েছে।
এদিন সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ হাজার ৪৯৭ জন। যার হাত ধরে এদিন রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ১৪ লক্ষ ২৬ হাজার ৭১০ জন। সুস্থতার হার গতদিনের চেয়ে সামান্য কমে ৯৭.৬৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা