রাজ্যে বাড়ছে অ্যাকটিভ রোগী, মৃত্যু ১৭ হাজার পার
রাজ্যে একদিনে করোনা সংক্রমণ গত দিনের তুলনায় আরও কমে গেল। এদিকে সংক্রমণ নামতে থাকলেও অ্যাকটিভ রোগী গত একদিনে আরও বাড়ল। কমছে সুস্থতার হারও।
রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধ ঘোষণার ১ মাস প্রায় হতে চলল। যার সুফল পাওয়া যাচ্ছে। গত একদিনে রাজ্যে নতুন সংক্রমিত গত দিনের সাপেক্ষে কমেছে। গত একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ২৬৮ জন। রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লক্ষ ৬৮ হাজার ৪৪ জনে।
এদিন নমুনা পরীক্ষা গত দিনের তুলনায় প্রায় ১ হাজার বেড়েছে। এদিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৫ হাজার ৬৪৫টি। রাজ্যে দীর্ঘদিন অ্যাকটিভ রোগী কমার পর টানা ৬ দিন অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়ল। রাজ্যে মোট অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৪৬ জন। ১৪ হাজারে নেমে আসা সংখ্যাটা এবার ২০ হাজার পার করল।
এদিন রাজ্যে দৈনিক মৃত্যু গত দিনের তুলনায় কমেছে। গত একদিনে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৭৫ জনের। গত দিনের তুলনায় এদিন ৩ জন কম মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে রাজ্যে এখন মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৪৯ জনে।
গত একদিনে রাজ্যে করোনায় যে ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে রাজ্যের অন্যতম ২ করোনা বিধ্বস্ত জেলা কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
শুধু কলকাতায় গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। এছাড়া হাওড়ায় ৯ জন ও নদিয়ায় ৬ জন মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়।
৩ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে পশ্চিম বর্ধমান ও দার্জিলিংয়ে। ২ জন করে মানুষের মৃত্যু হয়েছে জলপাইগুড়ি, হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। ১ জন করে প্রাণ হারিয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর, বীরভূম, বাঁকুড়া ও পূর্ব বর্ধমানে।
রাজ্যে একই সঙ্গে অনেক রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। তবে গত একদিনে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের চেয়ে কম হয়েছে।
এদিন সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ হাজার ৬৮ জন। যার হাত ধরে এদিন রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ১৪ লক্ষ ৩০ হাজার ৯৪৯ জন। সুস্থতার হার গতদিনের চেয়ে সামান্য কমে ৯৭.৪৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা