মেঘলা আকাশ, ঝিরঝির বৃষ্টিতে মজলিসি মেজাজে জামাইষষ্ঠী
জামাইষষ্ঠী মানেই তো পচা গরমে গলদঘর্ম একটা দিন। এমনটাই অধিকাংশ বছর থাকে। এবার কিন্তু প্রকৃতির দানে জামাইষষ্ঠী জমে গেল মজলিসি মেজাজে।
আষাঢ়ের প্রথম দিনে এবার পড়েছে জামাইষষ্ঠী। সাধারণত জ্যৈষ্ঠ মাসে পড়ে এই জিভে জল আনা তিথি। ফলে গলদঘর্ম অবস্থাতেই হয় জামাইষষ্ঠী। অত গরমে আয়েশ করে খাওয়াটা একটু কষ্টকর। কিন্তু এদিন যে তোফা আবহাওয়া জামাইষষ্ঠী পেল তাতে কার্যত জমে গেল জামাইষষ্ঠীর পর্ব।
এবার অবশ্য করোনার কারণে অনেক বাড়িতে জামাইষষ্ঠী স্থগিত হয়েছে। অনেক বাড়িতে শ্বশুরবাড়ি থেকে অনলাইনে অর্ডার দিয়ে জামাইকে বাড়িতেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে খাবার দাবার।
অনেকে চাইলেও যানবাহনের অসুবিধার কারণে শ্বশুরবাড়ি যেতে পারেননি। এর বাইরে আবার অনেক বাড়িতে প্রথা মেনে প্রতি বছরের মতই পালিত হয়েছে জামাইষষ্ঠী। গাড়ি বা বাইকে চড়ে অনেকে পৌঁছে গেছেন শ্বশুরবাড়ি।
যেসব বাড়িতে জামাইষষ্ঠী হচ্ছে সেখানে প্রতিবারের মতই এলাহি রান্নার আয়োজন। চুটিয়ে ভূরিভোজের জন্য যে আদর্শ আবহাওয়ার দরকার পড়ে তা তো এদিন প্রকৃতিই উপহার হিসাবে পাঠিয়ে দিয়েছে। উৎসবের আবহকে মজলিসি মেজাজে ভরে দিয়েছে ঝিরঝির বৃষ্টি আর ঠান্ডা পরিবেশ।
জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে প্রতিবারের মতই বাজারে এসেছে ইলিশ। আছে চিংড়ি, ভেটকি, পাবদা, তোপসে। আর পাঁঠা বা মুরগির মাংস তো রয়েছেই। সঙ্গে এবার আবার দারুণ আমের পশরা। মিষ্টি, দই তো রয়েছেই।
সব মিলিয়ে এলাহি খাওয়া দাওয়া আর এমন মজলিসি আবহাওয়া যে যুগলবন্দি তৈরি করেছে তাতে জমে ক্ষীর বাঙালির তেরো পার্বণের এক পার্বণ জামাইষষ্ঠী।