
৬ ঘণ্টার মধ্যে অপহৃত শিক্ষিকাকে উদ্ধার করল পুলিশ। টালিগঞ্জ থানা ও কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের তৎপরতায় শুক্রবার বেলার দিকে সোনারপুর থেকে নন্দিতা দাস নামে ওই শিক্ষিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ। অপহরণে যুক্ত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ২ জন মহিলা। মূল অভিযুক্ত পলাতক। পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ স্কুলে আসছিলেন সাদার্ন অ্যাভিনিউর কালীধন ইন্সটিটিউশনের শিক্ষিকা নন্দিতা দাস। সেই সময়ে স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ি থেকে ২ মহিলা ও ২ পুরুষ নেমে তাঁকে টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তুলে চম্পট দেয়। ঘটনাটি চোখে পড়ায় সেকথা পুলিশকে জানান ওই স্কুলেরই এক শিক্ষিকা। পুলিশ তদন্তে নেমে ওই শিক্ষিকার মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন দেখে হাজির হয় সোনারপুরে। সেখানেই একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় নন্দিতা দাসকে। সঙ্গে আটক করা হয় ৩ জনকে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে নন্দিতা দাস নামে ওই শিক্ষিকা ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে কাবুলিওয়ালা, সকলের কাছেই ধার করতেন। এভাবেই বছর খানেক আগে স্থানীয় এক কেবল অপারেটরের বোনকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ওই কেবল অপারেটরের কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা নেন নন্দিতা দাস। তারপর বারবার ওই অপারেটর তাঁকে অনুরোধ করলেও কোনও চাকরি তিনি দিতে পারেননি। পুলিশের অনুমান এভাবে টাকা নিয়ে চাকরি না দেওয়ার সাজা দিতেই এদিন স্ত্রী, বোন ও ড্রাইভারকে নিয়ে নন্দিতা দাসকে অপহরণ করেন ওই কেবল অপারেটর। পুলিশ তাঁকে খুঁজছে। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করার সঙ্গে সঙ্গে নন্দিতা দাসের বিরুদ্ধেও মামলা রুজু নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে পুলিশ।