রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের নিচে নামা গেল থমকে, বাড়ল মৃত্যু
রাজ্যে একদিনে করোনা সংক্রমণ এদিনও গত দিনের মত একই জায়গায় রইল। কিন্তু দৈনিক মৃত্যু আগের দিনের থেকে এদিন বেশি হয়েছে।
রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধ ঘোষণা কার্যকরী ভূমিকা যে নিয়েছে তা সংক্রমণ হ্রাস থেকেই স্পষ্ট। তবে গত একদিনে রাজ্যে নতুন সংক্রমিত তার আগের দিনের সংখ্যার মতই রয়ে গেল। গত একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ৯২৩ জন। রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লক্ষ ৮৯ হাজার ২৮৬ জনে।
এদিন নমুনা পরীক্ষা গত দিনের সঙ্গে প্রায় একই রয়ে গেছে। এদিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৫ হাজার ৬৭৪টি। রাজ্যে এদিন অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা নেমেছে। এদিনও কমার পর রাজ্যে মোট অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৩০৮ জন।
এদিন রাজ্যে দৈনিক মৃত্যু গত দিনের তুলনায় বেড়েছে। গত একদিনে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪১ জনের। গত দিনের তুলনায় এদিন ৩ জন বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে রাজ্যে এখন মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫১৬ জনে।
গত একদিনে রাজ্যে করোনায় যে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে রাজ্যের অন্যতম ২ করোনা বিধ্বস্ত জেলা কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
শুধু কলকাতায় গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। এদিন রাজ্যের কোনও জেলাতেই ২ অঙ্কে নেই মৃত্যু।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা বাদ দিয়ে হুগলিতে ৪ জন, নদিয়ায় ৩ জন, হাওড়ায় ৩ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩ জন ও দার্জিলিংয়ে ৩ জন মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়।
২ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে জলপাইগুড়ি, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পূর্ব বর্ধমানে। ১ জন করে প্রাণ হারিয়েছেন কালিম্পং, দক্ষিণ দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুরে।
রাজ্যে একই সঙ্গে অনেক রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। তবে গত একদিনে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের চেয়ে বেশি হয়েছে। এদিন সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ হাজার ৯৫২ জন। যার হাত ধরে এদিন রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ১৪ লক্ষ ৪৯ হাজার ৪৬২ জন। সুস্থতার হার এদিন সামান্য বেড়ে ৯৭.৩৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা