স্বস্তি বাড়িয়ে রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু কমল
রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণ এদিন আরও কমল। এদিন দৈনিক মৃত্যুও কমেছে। কোনও জেলায় ২ অঙ্কে নেই মৃত্যু। রাজ্যে মৃত্যুর হার দাঁড়িয়েছে ১.১৮ শতাংশে।
রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধ ঘোষণার চতুর্থ দফা শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে। এই কড়া বিধিনিষেধের নির্দেশ যে কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে তা প্রায় সকলেই মেনে নিচ্ছেন। দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা এদিন গত দিনের চেয়েও নেমেছে।
গত একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ৩৯১ জন। রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লক্ষ ৪ হাজার ৯৭ জনে।
এদিন নমুনা পরীক্ষা গত দিনের তুলনায় ৫০০-র মত বেড়েছে। এদিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫২ হাজার ৭৬১টি। রাজ্যে এদিন অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা নেমেছে। রাজ্যে মোট অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ২৮০ জন।
এদিন রাজ্যে দৈনিক মৃত্যু গত দিনের তুলনায় কমেছে। গত একদিনে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। গত দিনের তুলনায় এদিন ৩ জন কম মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে রাজ্যে এখন মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৭৭৯ জনে।
গত একদিনে রাজ্যে করোনায় যে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে রাজ্যের অন্যতম ২ করোনা বিধ্বস্ত জেলা কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
শুধু কলকাতায় একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। এদিন রাজ্যের কোনও জেলাতেই ২ অঙ্কে নেই মৃত্যু। কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা বাদ দিয়ে দার্জিলিংয়ে ৩ জন, হাওড়ায় ২ জন ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ২ জন মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়। ১ জন করে প্রাণ হারিয়েছেন জলপাইগুড়ি, পশ্চিম বর্ধমান ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।
রাজ্যে একই সঙ্গে অনেক রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত একদিনে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের চেয়ে বেশি হয়েছে। এদিন সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ হাজার ৮১৯ জন। যার হাত ধরে এদিন রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ১৪ লক্ষ ৬৭ হাজার ৩৮ জন। সুস্থতার হার এদিন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭.৫৪ শতাংশ। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা