লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ, কলকাতায় ১ সপ্তাহে দ্বিগুণ হল সংক্রমণ
কলকাতায় করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়েছে সংক্রমিতের সংখ্যা। এজন্য পুজোয় দেদার করোনা বিধি ভাঙাকেই কাঠগড়ায় চাপাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।
সতর্ক পুজোর আগে থেকেই করছিলেন চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞেরা। মানুষকে বারবার তাঁরা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন যে করোনা বিদায় নেয়নি। একটু অসতর্কতা ফের তার বাড়বাড়ন্ত ডেকে আনবে। কিন্তু কিছু মানুষ তা সত্ত্বেও পুজোর সময় করোনা বিধির তোয়াক্কা না করে ভিড় ঠেলে ঠাকুর দেখাকে বেছে নিয়েছিলেন।
সেই সাময়িক আনন্দের ফল কিন্তু এবার হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যাচ্ছে। আগেই চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন যে এরফলে করোনা ফের বাড়বে। আর ঠিক সেটাই হচ্ছে।
কলকাতায় করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। গত শুক্রবারও যা ছিল ১২৭ জনে তা এই শুক্রবার বেড়ে ২৪২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। পুজোর সময়ের ধাক্কা পুজোর পর ফুটে বার হচ্ছে।
চিন্তা আরও বাড়াচ্ছে অনেকের মধ্যে করোনার উপসর্গ সেভাবে না থাকায়। আক্রান্ত কিন্তু উপসর্গ নেই এমন ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি থেকে আরও মানুষের মধ্যে করোনা ছড়ানোর সম্ভাবনা চূড়ান্তভাবে থেকে যায়।
দেখা যাচ্ছে যাঁদের করোনা প্রতিষেধক টিকার ২টি ডোজ নেওয়া আছে তাঁদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ সেভাবে ফুটে বার হচ্ছেনা।
২৪২ জন আক্রান্তের মধ্যে দেড়শো জনই করোনা প্রতিষেধক টিকার ২টি ডোজ নিয়ে রেখেছিলেন। তাঁদের মধ্যে উপসর্গও নেই। আবার ১৫ জন এমন রয়েছেন যাঁদের ১টি করে ডোজ নেওয়া হয়ে গেছে।
করোনা যে বাড়তে চলেছে তা অনুমেয় ছিল। এবার তা বাড়তে থাকায় চিন্তার ভাঁজ পুরু হয়েছে প্রশাসনের কপালেও। পুজোর সময় যেভাবে মানুষ মুখে মাস্ক না পরে বা মাস্ক মুখ থেকে নামিয়ে দেদার ভিড়ে ঠাকুর দেখেছেন তার ফল তো ভুগতেই হত। এক্ষেত্রে প্রশাসনও তার দায়িত্ব পুরো পালন করেছে কী?
কেবল বলেই ছেড়ে দিয়েছে প্রশাসন। মুখে মাস্ক না থাকলে কাউকে ডেকে বলার ক্ষেত্রে তেমন কোনও উদ্যোগ পুলিশের ক্ষেত্রেও নজরে পড়েনি।
এর ফল এখন হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যাচ্ছে। রাজ্যেও মোট সংক্রমণ বেড়ে হয়েছে ৮৪৬ জন। গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের।