প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে দল ছাড়ার কথা জানালেন বিজেপি নেতা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে দল ছাড়ার কথা জানিয়ে রাজ্য বিজেপির অস্বস্তি বাড়ালেন আর এক বিজেপি নেতা। রাজ্যে ফের বিজেপিতে ভাঙনের ইঙ্গিত।
২০১৪ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে টিকিট দেয়নি বিজেপি। তা নিয়ে ক্ষোভ একটা ছিল। তারপর তৃণমূল ছেড়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তাঁকে বিজেপি দলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য পদ থেকে বাদ দিয়ে সেখানে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসায়। তা নিয়েও ক্ষোভ ছিল।
রাজ্য বিজেপি তাঁকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়না বলেও ক্ষোভ ছিল তাঁর। ফলে ক্ষোভের পাহাড় ক্রমশ উঁচু হচ্ছিল। এবার সেই ক্ষোভের অন্তিম বহিঃপ্রকাশটা ঘটে গেল। অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ জয় বন্দ্যোপাধ্যায় এবার দিওয়ালীর শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে দল ছাড়ার কথা জানিয়ে দিলেন।
জয় প্রধানমন্ত্রীকে লিখেছেন, তিনি গত ২ বছর ধরে বারবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু এখনও সেই সুযোগ আসেনি। চিকিৎসার জন্য বারবার সাহায্য চেয়েও এখনও কিছু পাননি তিনি।
২০১৬ সালে দলের জাতীয় কর্মসমিতির সদ্য করা হয় তাঁকে। কিন্তু তৃণমূল ছেড়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিতেই তাঁকে সরিয়ে সেখানে রাজীবকে আনা হয়। সেই রাজীবই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে গেছেন।
তাঁকে বিজেপির হয়ে প্রচারে গিয়ে মারও খেতে হয়েছে। কিন্তু রাজ্য বিজেপি চিরদিন তাঁকে অবজ্ঞা করে এসেছে। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি বিজেপিতে আর থাকবেন না। দল ছাড়বেন। জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত কিন্তু রাজ্য বিজেপির জন্য ফের একটা বড় ধাক্কা সন্দেহ নেই।
রাজ্য বিজেপির পোড় খাওয়া নেতা রাহুল সিনহা প্রতিক্রিয়ায় সংবাদ সংস্থাকে জানান, যে কারও দল ছাড়ার অধিকার রয়েছে। তবে এটা ঠিক যে জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে যখন দলের অন্যদের দাঁড়ানো উচিত ছিল তখন দাঁড়ানো হয়নি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা