ঠোঁটের ডগায় অজুহাত, মাস্ক ছাড়াই বর্ষবরণে আট থেকে আশি
মাস্ক পরা নিয়ে বারবার মানুষকে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক থেকে প্রশাসন। কিন্তু অনেকেই এসব পরামর্শ নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ। রয়েছে নানা অজুহাতও।
এবার শনিবার হওয়ায় পয়লা জানুয়ারির আনন্দটা নিতান্তই বেশি। সংক্রমণ চিন্তাকে দূরে ঠেলে অনেকেই এদিন রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন সকাল থেকে।
চিড়িয়াখানা হোক বা ভিক্টোরিয়া, ময়দান হোক বা নিক্কো পার্ক অথবা ইকো পার্ক। সর্বত্রই এদিন পয়লা জানুয়ারি উপলক্ষে ভিড় জমান মানুষজন।
অবশ্য যে ভিড়টা ২ বছর আগেও এই দিনটায় দেখা যেত, সেই ভিড় এদিন ছিলনা। তবে খুব কমও ছিলনা। এদিন সকাল থেকেই চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, মিলেনিয়াম পার্ক, ইকো পার্ক, নিক্কো পার্ক সর্বত্র ছিল মানুষের ঢল।
আট থেকে আশি সব বয়সের মানুষেরই দেখা মিলেছে। তবে যেটা সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ হয়েছে তা হল একটা বড় অংশের মানুষের মধ্যে সংক্রমণ নিয়ে ঢিলেঢালা মনোভাব।
অনেকেরই মুখে ছিলনা মাস্ক। অথবা মাস্ক নামানো ছিল। এঁদের মাস্ক নেই কেন জিজ্ঞাসা করাতে মিলেছে নানা অজুহাতের উত্তর। কারও অজুহাত পরেছিলেন সবে খুলেছেন। কারও দাবি, তিনি খাচ্ছিলেন বলে খুলেছেন।
কেউ বলছেন দীর্ঘ সময় মাস্ক পরে হাঁপিয়ে গেছেন বলে খুলে রেখেছেন। কারও সাফ কথা, সঙ্গে আছে, পুলিশ বললে তিনি পরে নেবেন। কারও মতে বাড়ি থেকে তাড়াহুড়ো করে বার হতে গিয়ে নিতে ভুলে গেছেন।
এভাবেই দিনভর বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরে বেড়ালেন সকলে। বিধিনিষেধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিনটা কাটিয়ে দিলেন নিজেদের মত। দুরত্ববিধি অধিকাংশ জায়গাতেই শিকেয় ওঠে এদিন।