পৌষ শেষে প্রবল শিলাবৃষ্টি, আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস
বিকেল গড়াতেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঝেঁপে বৃষ্টি নামে। প্রবল বৃষ্টি নামে কলকাতা সহ আশপাশের জেলাগুলিতেও। আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
মাঘের শেষে বৃষ্টির সার্থকতার কথা খনার বচনে পাওয়া যায়। কিন্তু পৌষের শেষে বৃষ্টি! তাও আবার একেবারে শ্রাবণের ধারার মত ঝেঁপে বর্ষণ। কার্যত বর্ষণ মুখর সন্ধে যে পৌষের শেষে হতে পারে তা অনেকেই জীবনে দেখেননি। বিশেষত পৌষের শেষে এত প্রবল শিলাবৃষ্টি কার্যত বিরল।
কিন্তু এদিন চারিদিক সাদা করে শিলাবৃষ্টি শুরু হয় বিকেল গড়াতেই। অনেক জায়গায় দ্রুত জলও জমতে শুরু করে। এদিন যে বৃষ্টি হতে পারে তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। কিন্তু মেঘের গর্জন হয়ে এমন শিলাবৃষ্টি যে ভাসাবে তা বোঝা যায়নি।
এদিন অনেকে শিলাবৃষ্টির আওয়াজে সচকিত হয়ে ওঠেন। পৌষের শেষে শিলাবৃষ্টি! এ কোন খেলায় মাতল প্রকৃতি! আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল ভূমধ্যসাগরে তৈরি হওয়া ভারী ও ঠান্ডা বাতাস পশ্চিমী ঝঞ্ঝা হয়ে ধেয়ে আসে ভারতের দিকে। জম্মু কাশ্মীর হয়ে ভারতে প্রবেশ করে।
উত্তর ও উত্তর পশ্চিম ভারতে এজন্য সমতলে বৃষ্টি ও পাহাড়ে তুষারপাত হয়। যা উত্তুরে হাওয়ার গতিপথ রুদ্ধ করে। ফলে গত কয়েকদিন ধরেই কলকাতা সহ এ রাজ্যের পারদ ছিল উর্ধ্বমুখী। পৌষের শেষে উধাও হয়ে গিয়েছিল শীত।
মঙ্গল ও বুধবার বৃষ্টির পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। সেই বৃষ্টিই হল এদিন। কিন্তু তা যে এমন প্রবল আকারে হবে তা বোঝা যায়নি।
তার সঙ্গে শিলাবৃষ্টি অবাক করেছে মানুষজনকে। এটা শীতের ফসলের জন্যও অশনিসংকেত বলে মেনে নিচ্ছেন কৃষকরা। অনেকেই বৃষ্টি আসতে পারে শুনে ফসল কেটে ঘুরে তুলেছেন।
এদিন বিকেলে ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, বর্ধমানে বৃষ্টি শুরু হয়। তারপর ক্রমশ তা এগোতে থাকে আরও পূর্বে। সন্ধে নামতেই কলকাতা সহ আশপাশের এলাকায় প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। আবহাওয়া দফতর কিন্তু বুধবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।