অনুব্রত মণ্ডল বাড়ি ফিরতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই দফতরে তৎপরতা তুঙ্গে
অনুব্রত মণ্ডল বাড়ি ফিরেছেন একথা জানতে পারার পরই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৎপরতা শুরু করলেন সিবিআই আধিকারিকরা। শুক্রবার রাতেই হাসপাতালে থেকে বাড়ি ফেরেন তিনি।
তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলার সভাপতি তথা ডাকসাইটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল ১৭ দিন পর ছাড়া পেলেন হাসপাতাল থেকে। গত শুক্রবার রাতেই তাঁকে হাসপাতালে থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে রাজারহাটের বাড়িতে ফেরেন অনুব্রত। তবে তাঁর নানা শারীরিক সমস্যা রয়েছে।
এদিকে অনুব্রত মণ্ডল বাড়ি ফিরেছেন একথা জানতে পেরেই নড়েচড়ে বসেছে সিবিআই। সিবিআই-এর কলকাতার আধিকারিকরা দিল্লিতে সিবিআই ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছেন।
এক সিবিআই আধিকারিক তাঁর পরিচয় গোপন রাখতে হবে এই শর্তে সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে জানিয়েছেন যে এবার আর যাতে অনুব্রত মণ্ডল সিবিআই জেরাকে এড়িয়ে যেতে না পারেন সেদিকে নজর রাখছেন সিবিআই কর্তারা।
কবে এবং কখন অনুব্রতকে জেরা করা হবে তা নিয়েও তৎপরতা তুঙ্গে রয়েছে। গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল সিবিআই।
সিবিআই আধিকারিকরা এবার অনুব্রত মণ্ডলকে ফের তাঁদের দফতরেই ডাকবেন নাকি সিবিআই আধিকারিকরাই তাঁর বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তা নিয়েও আলোচনা চলছে।
প্রসঙ্গত সিবিআইয়ের তলবে গত ৬ এপ্রিল সিবিআইয়ের নিজাম প্যালেসের দফতরে যেতে বেরিয়েও অনুব্রত মণ্ডল অসুস্থ বোধ করায় গাড়ি ঘুরিয়ে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষার পর উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করে নেন। তারপর থেকে টানা ১৭ দিন হাসপাতালেই ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল তথা বীরভূমের কেষ্টদা।
হাসপাতালে থেকে বাড়িতে ফিরলেও অনুব্রত মণ্ডলকে সম্পূর্ণ বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তাঁর হৃদযন্ত্রে ব্লক পাওয়া গিয়েছে। ৪ সপ্তাহ পরে একটি পরীক্ষা করিয়ে ফের চেকআপে যেতে বলেছেন চিকিৎসকেরা।
এদিকে অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে প্রতিটি তথ্য সিবিআইকে জানিয়ে চলেছেন তাঁরা। এবার সিবিআই ভাববে এই অবস্থায় তারা কি করবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা