মরসুমের প্রথম কালবৈশাখী, স্বস্তির বর্ষণে প্রাণ ফিরে পেল শহর থেকে গ্রাম
অবশেষে তার দেখা মিলল। গোটা চৈত্রে দেখা মেলেনি। মেলেনি বৈশাখের মাঝামাঝি পৌঁছেও। অবশেষে অপেক্ষার শেষ। সন্ধে নামতেই ধেয়ে এল কালবৈশাখী।
কালবৈশাখী কি এবার হবেই না? এমন প্রশ্ন অনেকের মুখেই ঘুরছিল। বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি পৌঁছেও যখন কালবৈশাখী হল না তাহলে হয়তো আর এ বছর তার দেখা মিলবে না! এমন হতাশার কথাও শোনা যাচ্ছিল।
কিন্তু সে এল। দেরি করে হলেও শনিবার সন্ধেয় ধেয়ে এল কালবৈশাখী। একদম পুরনো ছন্দে ঝড় হল। হল বৃষ্টিও। বেশিক্ষণ ধরে বৃষ্টি না হলেও, যা বৃষ্টি হয়েছে তাতে আকাশ বাতাসের তপ্ত দহন জ্বালা জুড়িয়ে দিয়েছে শীতল বারিধারা। অনেকেই এদিন বৃষ্টি আসতে নেমে পড়েন ভিজতে। শরীর থেকে যেন লুকিয়ে থাকা গরম বেরিয়ে যেতে থাকে বৃষ্টির ছোঁয়ায়।
এদিন কলকাতা সহ আশপাশের অনেক জেলাই বৃষ্টিতে ভিজেছে। যে দক্ষিণবঙ্গ চাতক চাহনি নিয়ে চেয়েছিল আকাশের দিকে, সেই দক্ষিণবঙ্গ শুক্রবারের অল্প বৃষ্টির ছোঁয়ার পর শনিবার ভালই ভিজল।
আবহাওয়া দফতর আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল ঝড়বৃষ্টির। তবে পূর্বাভাস ছিল ১ মে-কে সামনে রেখে। অর্থাৎ রবিবার বেশি সম্ভাবনা ছিল ঝড় বৃষ্টির।
কিন্তু প্রকৃতি একদিন আগেই সেই ঝড়বৃষ্টি উপহার দিল। যাতে প্রাণ জুড়িয়ে গেছে শহর থেকে গ্রামের। আগামী রবি, সোম, মঙ্গলবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
শনিবার সন্ধেয় যে ঝড়বৃষ্টি হয়েছে তা হয়েছে মূলত স্থানীয় ভাবে তৈরি হওয়া মেঘের জন্য। তবে দক্ষিণবঙ্গে এতদিন বৃষ্টির পরিবেশই ছিলনা। এবার তা তৈরি হয়েছে বলেই জানিয়েছেন আবহবিদেরা। ফলে মে মাসে গরম হলেও সঙ্গে বৃষ্টির ছোঁয়া আশা করতেই পারেন মানুষজন।