শনিবারের পর রবিবারও রাতে কালবৈশাখী, সোমবার কি হ্যাটট্রিক
হয়না তো হয়না। আর যখন একবার হতে শুরু করল তখন শনিবারের প্রথম কালবৈশাখীর পর রবিবার দ্বিতীয় কালবৈশাখী আছড়ে পড়ল। তবে সন্ধেয় নয় এল রাতে।
রবিবারও কালবৈশাখীর পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। বিকেল ৪টের পর থেকেই ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা ছিল। দিনভর অধিকাংশ সময় মেঘলা আকাশ থাকার পর বিকেল বা সন্ধেয় ফের একটা ঝড় বৃষ্টির আশায় ছিলেন অনেকে।
কিন্তু সন্ধে গড়িয়ে রাত এলেও ঝড় আসেনি। ফলে এদিন আর বৃষ্টি হল না বলেই ধরে নিয়েছিলেন সকলে। কিন্তু তাঁদের হতাশা ভুলিয়ে দিল রাতের কালবৈশাখী।
কালবৈশাখী সাধারণত বিকেল সন্ধের মুখে হয়। কিন্তু এদিন রাত ১০টার পর আচমকা ধেয়ে আসে কালবৈশাখী। প্রবল ঝড়ে ঘরবাড়ি ধুলোময় হয়ে পড়ে।
কালবৈশাখী ঝড়ের ঝাপটা কিছুটা স্তিমিত হতেই নামে বৃষ্টি। কোথাও বেশি তো কোথাও কম। কিন্তু বৃষ্টি হয়েছে। যা রাতের আবহাওয়াকে মনোরম করে দেয়। যা সোমবারের কর্মময় দিনের আগের রাতটায় ভাল ঘুমের আবহ তৈরি করে দেয়।
রাজ্যের দক্ষিণ অংশে যে ঝড়বৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে তা আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। টানা প্রায় ৩ মাস বৃষ্টি না পাওয়া মন আনচান করছিল বৃষ্টির জন্য। গরমে প্রাণান্তকর অবস্থা হয়েছিল সকলের।
অবশেষে শুক্রবার সন্ধের হাল্কা বৃষ্টিতেই মন ভরে যায় সকলের। তবে তা ছিল ট্রেলার। শনিবার থেকে শুরু হয় দাপুটে কালবৈশাখী। যা রবিবারও বজায় রইল।
এখন সকলের প্রশ্ন তবে কি সোমবারও এমনই ঝড় বৃষ্টি পাওয়া যেতে পারে? আবহাওয়া দফতর কিন্তু সোমবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলার জন্য বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। ফলে স্বস্তির বৃষ্টি সোমবারও হতে চলেছে বলে আশা করা যেতেই পারে।