শহরের রাজপথে পুলিশকর্মীর এলোপাথাড়ি গুলি, যুবতীর আর বাড়ি ফেরা হলনা
শহরের রাজপথে কার্যত এক হাড়হিম করা ঘটনা ঘটে গেল। এক পুলিশকর্মীর আচমকা এলোপাথাড়ি গুলিতে প্রাণ হারালেন এক ২৮ বছরের যুবতী।
কলকাতার পার্ক সার্কাসের মত জমজমাট এলাকায় শুক্রবার যে হাড়হিম করা ঘটনা ঘটল তাতে শহরবাসী আতঙ্কিত। পার্ক সার্কাসে রয়েছে বাংলাদেশ হাইকমিশনের অফিস। তার সামনেই ডিউটিতে ছিলেন কলকাতা পুলিশের কর্মী চৌদুপ লেপচা। আচমকাই তিনি তাঁর সার্ভিস বন্দুক থেকে গুলি চালাতে শুরু করেন।
গুলি চলার শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকেন চৌদুপ। সেই গুলি গিয়ে লাগে সে সময় সেখান দিয়ে একটি বাইকে চড়ে যাওয়া রিমা সিংহ নামে এক যুবতীর বুকে। রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি।
বাইক চালক কোনও ক্রমে নিজেকে বাঁচাতে সক্ষম হন। এদিকে ১২-১৫ রাউন্ড গুলি চালানোর পর চৌদুপ লেপচা নিজের ওই বন্দুক থেকে নিজেকে গুলি করেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
ঘটনার পর চারধার থেকে লোকজন সেখানে ছুটে আসেন। পুলিশ এসে হাজির হয়। ওই যুবতীরও ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে থাকা তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
হাওড়ার দাসনগরের বাসিন্দা ওই যুবতীর বাড়িতে পুলিশই এই মর্মান্তিক খবরটি দেয়। রিমার আর ১ মাস পরেই বিয়ের কথা ছিল। বাড়িতে এদিন তাঁর হবু স্বামীর দেখা করতে আসারও কথা ছিল। পার্ক সার্কাসে ট্রেনিং সেরে রিমার সন্ধেয় বাড়ি ফেরার কথা। কিন্তু সেই ফেরা আর হল না।
প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে চৌদুপ লেপচা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। শুক্রবারই ছুটি থেকে ফিরে তিনি ডিউটিতে যোগ দেন। তাঁকে বাংলাদেশ হাইকমিশনের অফিসের সামনে পোস্টিং দেওয়া হয়। সেখানেই এই ঘটনা ঘটান তিনি।
পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদিন শুক্রবারের নমাজ পাঠ থাকায় এলাকায় ভিড় কম ছিল। নাহলে আরও বেশি মানুষের মৃত্যু হতে পারত বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। এলোপাথাড়ি গুলি রিমা সিংহের জীবন কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি অনেকগুলি দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে গিয়ে লাগে।