খাঁচা থেকে পালিয়ে চিড়িয়াখানা জুড়ে মর্নিং ওয়াক করে বেড়াল শিম্পাঞ্জি
চিড়িয়াখানা মানেই সেখানে খাঁচা বন্দি পশুপাখির ভিড়। পশুপাখিরা যাতে খাঁচা ছেড়ে বার হতে না পারে সেজন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবু পালাল শিম্পাঞ্জি।
সকালে চিড়িয়াখানা চত্বরে ঘুরে বেড়াচ্ছিল একটি শিম্পাঞ্জি। তখন সাড়ে ১০টা হবে। হঠাৎই এমন দৃশ্যে চিড়িয়াখানার কর্মীরাও নিজেদের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না।
এদিকে শিম্পাঞ্জি দিব্যি চিড়িয়াখানার এদিক ওদিক বেড়াতে শুরু করে। জল যেখানে রয়েছে সেখানে আয়েশ করে জলপানও করে। বেশ খোশমেজাজেই ছিল সে। কিন্তু মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল চিড়িয়াখানার কর্মী থেকে কর্তৃপক্ষ সকলের।
সূত্রের খবর, সকালে বুড়ি নামে ওই শিম্পাঞ্জিকে খাবার দিতে গিয়েছিলেন চিড়িয়াখানার কর্মীরা। রোজই দেওয়া হয়। এদিন কিন্তু খোলা দরজা পেয়ে সেখান দিয়ে সকলের চোখ এড়িয়ে খাঁচা ছেড়ে বেরিয়ে পড়ে শিম্পাঞ্জিটি। তারপর চিড়িয়াখানা জুড়ে ঘুরতে শুরু করে।
শিম্পাঞ্জি খাঁচা ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছে একথা জানার পর সঙ্গে সঙ্গে আলিপুর চিড়িয়াখানার মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঘুমপাড়ানি গুলি চালানোর বন্দুক হাতে বেরিয়ে পড়েন চিড়িয়াখানার কর্মীরা।
এদিন ওই শিম্পাঞ্জিকে পাকড়াও করতে হিমসিম খেতে হয় সকলকে। অবশেষে তাকে ঘুমপাড়ানি ঘুলি ছুঁড়ে কাবু করা হয়। ঝিমিয়ে পড়া শিম্পাঞ্জিকে ফের ফেরানো হয় খাঁচায়।
কীভাবে একটি শিম্পাঞ্জি এভাবে বেরিয়ে পড়ল তা খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে। চিড়িয়াখানায় বেলা বাড়লে দর্শক বাড়ে। তখন এভাবে কোনও পশু বেরিয়ে পড়লে আতঙ্কে হইচই শুরু হতে পারত। এদিন সকালে শিম্পাঞ্জিটি বেরিয়ে পড়ায় সেই সমস্যা হয়নি।