পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চটি ছুঁড়ে মারলেন এক মহিলা, লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় অখুশিও হলেন
তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছেও এ এক ধাক্কা। এই প্রথম কোনও তৃণমূলের প্রাক্তন নেতাকে তাক করে চটি ছুঁড়লেন সাধারণ এক মহিলা। কেন এমন করলেন তাও জানিয়েছেন তিনি।
আদালতের নির্দেশ মেনে প্রতি ৪৮ ঘণ্টায় ১ বার করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে চলেছে ইডি। মঙ্গলবার তাঁকে আনা হয় জোকার ইএসআই হাসপাতালে।
হাসপাতালের বাইরে সংবাদমাধ্যমের ভিড়। সাধারণ কৌতূহলী মানুষও কম নেই। পরীক্ষার পর পার্থবাবুকে বার করে গাড়িতে তুলতে যাবেন ইডি আধিকারিকরা, ঠিক তখনই প্রায় সকলকে স্তম্ভিত করে দিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে উড়ে এল মহিলাদের এক পাটি চটি।
এই পরিস্থিতি বোঝার আগেই ফের আরও এক পাটি উড়ে এল পার্থবাবুকে লক্ষ্য করে। ইডি আধিকারিকরা আর অপেক্ষা করেননি। সুরক্ষাকর্মীরা প্রায় ঠেলে পার্থবাবুকে গাড়িতে তুলে দেন। ইডি আধিকারিকরা তাঁকে নিয়ে রওনা দেন।
কিন্তু এই কাণ্ড ঘটাল কে? এক মধ্যবয়সী মহিলা যে তাঁর পা থেকে চটি খুলে ছুঁড়েছিলেন তা জানতে সময় লাগেনি। সাংবাদিকরা সকলেই ছোটেন তাঁর দিকে।
ওই মহিলা তখন বেশ উত্তেজিত। তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, কি করলে খুশি হত সংবাদমাধ্যম? পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গলায় মালা পরিয়ে স্বাগত জানালে?
এভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি, ফ্ল্যাটের পর ফ্ল্যাট বানিয়েছেন পার্থবাবু বলে অভিযোগ তাঁর। রাজ্যের বেকারত্বের প্রশ্নও তোলেন তিনি।
এও জানান তাঁর এক আত্মীয় হাসপাতালে ভর্তি, সেখানে পার্থবাবুকে নিয়ে আসার পর সাধারণ রোগীর আত্মীয়রা চরম সমস্যায় পড়েন।
বোঝাই যায় একের পর এক ক্ষোভ জমে আছে তাঁর ভিতরে। শুভ্রা ঘড়ুই নামে ওই মহিলা কার্যত আক্ষেপের সুরেই জানান, চটিটা পার্থবাবুর টাকে লাগলে তিনি খুশি হতেন।
যদিও পুলিশ তাঁকে এমন কাণ্ডের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করে। তবে এদিন চটি ছোঁড়াকে কেন্দ্র করে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হল তা কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্বের জন্য মোটেও সুখের হল না।