জেলে পার্থর জন্য এতটুকু ছাড় নেই, তবে অর্পিতা পাচ্ছেন বেশ কিছু সুবিধা
আদালতের নির্দেশে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। যেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মুখ বুজে সব নিয়ম মানতে হচ্ছে।
স্কুল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডি হেফাজত থেকে এখন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ঠাঁই হয়েছে জেলে। আদালতের নির্দেশে তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে যেতে হয়েছে।
গত শুক্রবারই পার্থকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে এবং অর্পিতাকে আলিপুর সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ২ নম্বর সেলে রাখা হয়েছে।
সেখানে প্রথম রাতে অন্য জেলবন্দিদের মতই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ২টি কম্বল দেওয়া হয়। তাঁকে কোনও খাট দেওয়া হয়নি। মেঝেতেই সেই কম্বল পেতে শুয়েছিলেন তিনি। মাথার বালিশ বানিয়েছিলেন অন্য একটি কম্বলকে। তবে তাঁকে একটি পাখা দেওয়া হয়েছে।
অন্য জেলবন্দিদের মত কমন টয়লেট ও বাথরুম ব্যবহার করতে হচ্ছে তাঁকে। খাবারও যা সকলকে দেওয়া হয়েছে তাই তাঁকেও দেওয়া হয়েছে। যা মুখ বুজে খেয়েও নিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
রাতে দেওয়া হয়েছিল রুটি-তরকারি। শনিবার সকালে চা ও পাউরুটি দেওয়া হয়। দুপুরে ছিল ভাত, মুসুরির ডাল এবং সবজি। সবই খেয়ে নেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মত অতটা সাধারণ জেলবন্দিদের মত করে অর্পিতাকে রাখা হচ্ছেনা। বরং বেশ কয়েকটি সুবিধা পাচ্ছেন তিনি।
তাঁকে যেখানে রাখা হয়েছে তা আদপে সেল নয়। একটি ঘর। যেখানে জেলবন্দিদের ভোকেশনাল ট্রেনিং করানো হয়। ঘরে আলো, হাওয়ার বন্দোবস্ত রয়েছে।
অর্পিতা শুক্রবার রাতে না খেলেও শনিবার সকালে ও দুপুরে খান। তবে তাঁকে অন্য জেলবন্দিদের সঙ্গে কমন টয়লেট ও বাথরুম ব্যবহার করতে হচ্ছে।