দেশে আছে মাত্র একটাই, তিলোত্তমায় প্রমোদতরী সাজছে ঐতিহাসিক স্টিমার
দেশে মাত্র একটিই এখনও রয়ে গেছে। সারা দেশের আর কোথাও এমন স্টিমার নেই। এবার সেই স্টিমার শহর লাগোয়া গঙ্গার বুকে ভাসতে চলেছে প্রমোদতরীর সাজে।
সারাদেশে একটিমাত্র এমন স্টিমার আর আস্ত রয়েছে। যা আবার রয়েছে কলকাতায়। গোটা দেশের জন্যই এই স্টিমার ঐতিহাসিক। যার রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি। আপাতত এই স্টিমার রয়েছে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের জিম্মায়।
১৯৪৪ সালে ব্রিটেনের জাহাজ নির্মাণ কারখানা থেকে এই স্টিমার তৈরি হয়ে যাত্রী পরিবহণের জন্য আনা হয় কলকাতায়। সেটি ছিল প্যাডেল স্টিমার। নাম দেওয়া হয়েছিল পিএস ভোপাল।
পরে প্যাডেল স্টিমার ইতিহাসের পাতায় নাম লেখায়। আর সেখানে জায়গা করে নেয় মোটর চালিত স্টিমার। কিন্তু সেই ব্রিটিশ আমলের একটিমাত্র প্যাডেল স্টিমার এখনও বেঁচে রয়েছে।
সেটি এতদিন ব্যবহার হত স্টিমার চালনা প্রশিক্ষণের কাজে। যে সংস্থার সঙ্গে সেই চুক্তি ছিল তা শেষ হওয়ার পর এখন কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর কর্তৃপক্ষ টেন্ডার ডেকে স্টিমারটি একটি বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছে। তারাই এই স্টিমারকে সাজিয়ে গুছিয়ে একটি প্রমোদতরীর রূপ দিয়েছে।
এই প্রমোদতরী মূলত বেড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হবে। কলকাতার গা দিয়ে বয়ে যাওয়া গঙ্গা বা হুগলি নদীর বুকে পর্যটকদের নিয়ে ভেসে বেড়াবে সে। রাত নামলে জ্বলে উঠবে তার রঙিন মায়াময় আলো। যা দূর থেকে যে কোনও মানুষের চোখ আটকে দেবে।
বেসরকারি সংস্থা দেশের একমাত্র প্যাডেল স্টিমারটির রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি সেটিকে প্রমোদতরী হিসাবে ব্যবহার করলেও এর মালিকানা কিন্তু থাকছে কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দরের হাতে। সেপ্টেম্বর থেকেই প্রমোদতরী হিসাবে গঙ্গার বুকে ভেসে পড়বে পিএস ভোপাল। যাতে ভ্রমণ পর্যটকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে ১৯৪৪ সালে। সেই সময়ের একটি স্টিমারে ঘোরার অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন তাঁরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা