হিন্দু মহাসভার দুর্গাপুজোয় মহাত্মা গান্ধীর মত দেখতে অসুর, নিন্দার ঝড়
হিন্দু মহাসভার কসবার একটি পুজোয় দুর্গার হাতে ত্রিশূলবিদ্ধ হিসাবে দেখা যায় মহাত্মা গান্ধীরূপীকে। যা নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। অবশেষে অন্য পদক্ষেপ করেন উদ্যোক্তারা।
দক্ষিণ কলকাতার রুবি পার্কে হিন্দু মহাসভার দুর্গাপুজো ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হল তা রাজ্যের বেড়া ডিঙিয়ে পৌঁছে গেল দেশের কোণায় কোণায়। সপ্তমীর দিন ছিল মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিবস, গান্ধী জয়ন্তী। তার মধ্যেই পুজোও পড়েছে। সেখানে কোথাও যেন সবকিছু একটা সুতোয় বাঁধা হয়ে গেল।
হিন্দু মহাসভার ওই পুজোয় মায়ের হাতে ত্রিশূলবিদ্ধ অসুরকে দেখে থমকে গেছেন অনেকেই। এতো অসুর নয়, এতো গান্ধীজি! হুবহু গান্ধীজি ত্রিশূলবিদ্ধ হয়েছেন! গান্ধীজিকে কি তবে এখানে অসুর রূপে দেখানোর চেষ্টা হয়েছে? এটা সামনে আসতেই দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিভিন্ন মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। সকলেই নিন্দায় মুখর।
অসুরকে সকলে অশুভ শক্তির প্রতীক হিসাবেই দেখেন। যার বিনাশ করেন মাদুর্গা। সেই অসুর গান্ধীজি! যদিও প্রবল সমালোচনার ঝড় ওঠার পর উদ্যোক্তারা দাবি করছেন, অসুর দেখানোর চেষ্টাই করেছে তাঁরা। ওটা গান্ধীজি নন। কিছুটা মিল থাকায় এমনটা অনেকের মনে হচ্ছে। কিন্তু তাঁদের এই যুক্তিকে অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। বরং রাজ্য প্রশাসন ও পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়তে থাকে।
অভিযোগ পেয়ে পুলিশের তরফে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁদের জানানো হয় যেহেতু মানুষের ভাবাবেগে আঘাত নেমে আসছে তাই উদ্যোক্তারা যেন কোনও পদক্ষেপ করেন।
প্রবল চাপের মুখে অবশেষে ওই গান্ধীরূপ পরিবর্তন করা হয়। খুলে নেওয়া হয় চশমা। মাথায় একটি পরচুলা পরিয়ে দেওয়া হয়। যাতে তা অসুরের চেনা রূপ ফিরে পায়। যদিও এই রূপ পরিবর্তন যে তাঁরা চান না তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন উদ্যোক্তারা।