বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই পেল না নবমীও, কি বলছে আবহাওয়া দফতর
বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই পেল না মহানবমীর দিনটাও। ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমীর পর নবমীতেও ভিজল শহর থেকে গ্রাম। যদিও তাতে ঠাকুর দেখার উৎসাহে ভাটা পড়েনি।
বঙ্গোপসাগরে জোড়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে যে বৃষ্টি নামবে তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। পুজো জুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাসও ছিল। তা অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল।
মহানবমীর দিন সকালে কিন্তু আকাশ দেখে বোঝা যায়নি যে বৃষ্টি নামতে পারে। ফলে সকলেই আশ্বস্ত ছিলেন যে বৃষ্টি বোধহয় পিছু ছাড়ল। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।
রোদ ঝলমলে নীল আকাশে দুপুরে হাজির হয় মেঘ। ক্রমশ আকাশ ছেয়ে যায় কালো মেঘে। তারপর নামে বৃষ্টি। এদিন দুপুরে কলকাতা ও তার আশপাশের জেলাগুলিতে বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে।
নবমীর সকাল থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে ছিল দর্শনার্থীদের ঢল। বৃষ্টি নামলে কেউ আশ্রয় নিয়েছেন কোনও ঢাকা জায়গায়। তো কেউ প্যান্ডেলের মধ্যেই। কেউ আবার অত তোয়াক্কা না করে ছাতা খুলে হাঁটা লাগিয়েছেন পরবর্তী প্যান্ডেলের উদ্দেশে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে দশমী থেকে দক্ষিণবঙ্গের পরিস্থিতির উন্নতি হবে। তবে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি বাড়বে। প্রসঙ্গত দক্ষিণে কমতে শুরু করে নবমী থেকেই উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি বাড়বে বলে পূর্বাভাস। উত্তরের দার্জিলিং, কালিম্পং সহ আশপাশে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
এদিকে নবমীর দিন কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে বটে, তবে তা জল জমানো বৃষ্টি নয়। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির যে পূর্বাভাস ছিল তা মেনেই বৃষ্টি হয়েছে।
পুজোর প্রতিদিন বৃষ্টি হলেও ষষ্ঠীর দিন বাদ দিয়ে জল জমানো বৃষ্টি কোনওদিনই হয়নি। বরং রোদ বৃষ্টির খেলা চলেছে। মানুষ কিন্তু নিশ্চিন্তেই ঠাকুর দেখেছেন।