৪ দলের একই দিনে নানা রাজনৈতিক কর্মসূচি, ফল ভুগলেন সাধারণ মানুষ
কর্মব্যস্ত দিনের মাঝেই ৪টি প্রধান রাজনৈতিক দলের একাধিক কর্মসূচি আজই একসঙ্গে পালিত হল। এই গরমে যার জের ভুগতে হল আম জনতাকে।
দিনটা বুধবার। সপ্তাহের অন্যতম ব্যস্ত দিন। স্কুল, কলেজ থেকে অফিস কাছারি, সর্বত্রই ব্যস্ততা। তার মাঝেই রোদে পোড়া শহরে সকাল থেকেই সাজো সাজো রব।
রাজ্যের ৪টি প্রধান রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি এবং কংগ্রেস কোমর বেঁধে নেমে পড়ে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে। একসঙ্গে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ৪ দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি কার্যত শহরের একটা অংশকে স্তব্ধ করে দিল। বহু মানুষ তার জের ভুগলেন তপ্ত দুপুরে।
ধর্মতলার শহিদ মিনারে এদিন ছিল তৃণমূল ছাত্র যুবদের সমাবেশ। যেখানে প্রধান বক্তা ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যার সঙ্গে গায়ে গায়ে চলছিল ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মচারিদের বিক্ষোভ।
এদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে সমাবেশ করেন তার কাছেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে বসেন টানা ৩০ ঘণ্টার অবস্থানে। ফলে ধর্মতলা এদিন সূর্যের উত্তাপের পাশাপাশি রাজনৈতিক উত্তাপেও তপ্ত হয়েছিল। এখানে অনেক তৃণমূলকর্মীর ভিড়ও জমে।
যখন তৃণমূল প্রধানত ধর্মতলা চত্বরে রয়েছে, তখন শ্যামবাজার ছিল বিজেপির দখলে। শ্যামবাজারের ভূপেন বোস অ্যাভিনিউতে বিজেপির সমাবেশ মঞ্চকে কেন্দ্র করে শ্যামবাজারের স্বাভাবিক যান চলাচল ব্যাহত হয়। এখানে বিজেপি আবার রাজ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়। যেখানে হাজির হন শুভেন্দু অধিকারী।
শহরে যখন ২ প্রান্তে তৃণমূল ও বিজেপির রাজনৈতিক কর্মসূচি চলছে তখন রামলীলা ময়দান থেকে সিপিএম ও কংগ্রেসের একটি মহামিছিল বার হয়। যা পৌঁছয় পার্ক সার্কাস পর্যন্ত। এই মিছিলকে ঘিরে মধ্য কলকাতা জুড়ে যানজটের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
সব মিলিয়ে একই দিনে ৪টি দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি কার্যত মধ্য ও উত্তর কলকাতায় যান চলাচলে প্রভাব ফেলে। যানজট ও গাড়ি অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়ার শিকার হতে হয় কাজে বার হওয়া সাধারণ মানুষকে।