ভিক্টোরিয়ায় গোপাল ভাঁড়কে কাছে পেয়ে আনন্দে আটখানা শহরবাসী
বইয়ের পাতা থেকে উঠে এলেন গোপাল ভাঁড়। এবার তিনি তিলোত্তমার পথে ঘুরে বেড়ালেন। গল্প করলেন অনেকের সঙ্গে। ব্যাপারটা কি জানেন?
বঙ্গ জীবনে যে কটি চরিত্র বইয়ের পাতা থেকে জীবনের সঙ্গে মিশে গেছে তার একজন অবশ্যই গোপাল ভাঁড়। বাঙালির হাস্যকৌতুকের দুনিয়াকে নির্ভেজাল হাসিতে ভরিয়ে দিতে গোপাল ভাঁড়ের জুড়ি নেই। আবার তাঁর প্রখর বুদ্ধিরও তারিফ সকলের মুখে মুখে ঘোরে।
নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাসদ হিসাবে পরিচিত গোপাল ভাঁড়ের মজার সব কাহিনি আজও শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলের মুখে হাসি ফোটায়। রাজার নানা সমস্যার সমাধান তাঁর বুদ্ধির জোরে অনায়াসেই করে ফেলেন গোপাল ভাঁড়।
সেই গোপাল ভাঁড় যদি বইয়ের পাতা বা টিভির কার্টুন থেকে সোজা রাস্তায় এসে হাজির হন। যদি ঘুরে বেড়ান আপনার আশপাশে, গল্প করতে এগিয়ে আসেন আপনার সঙ্গে তাহলে তো অবাক হওয়ারই কথা। সেটাই তো হলেন ভিক্টোরিয়া বা নিউ মার্কেটে ঘোরা মানুষজন।
ভিক্টোরিয়ার সামনে গোপাল ভাঁড় তাঁর চেনা হলুদ পাঞ্জাবি, গেরুয়া ধুতি, কালো জুতোয় দিব্যি ঘুরে বেড়ালেন। ঘোড়ার গাড়িতেও চড়লেন আশপাশটা ঘুরে দেখার জন্য।
কচিকাঁচা দেখলে তাদের কাছে এগিয়ে এলেন। তাদের হাত ধরে ঘুরলেনও। ছোটরা তো বটেই, এমনকি তাঁদের খুব চেনা গোপাল ভাঁড়কে এভাবে সামনে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা সব বয়সের মানুষ।
অনেকেই গোপালের সঙ্গে হাত মেলালেন, প্রণাম জানালেন, সেলফিও তুললেন। আবার কয়েকটা কথাও বললেন। এভাবে গোপালের কলকাতা দর্শনের হাত ধরে রক্তমাংসের গোপাল ভাঁড়কে দেখে বেজায় খুশি শহরবাসী।