পুজো কমিটিগুলিকে রাজ্য সরকারি অনুদান চন্দ্রযান-৩-এর খরচের অর্ধেকের বেশি
এবার চন্দ্রযান-৩ পাঠাতে ইসরোর মোট খরচের সঙ্গে তুলনা হল পুজো কমিটিগুলিকে রাজ্য সরকারি অনুদানের। যা কার্যত অর্ধেকেরও বেশি।
চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্য ভারতের মাথা বিশ্ব মানচিত্রে অনেকটা উঁচু করে দিয়েছে। বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসাবে চাঁদে পা রাখার স্পর্ধা দাপটের সঙ্গে দেখিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। এই পুরো প্রকল্পের পিছনে ৪ বছরের নিরলস পরিশ্রম রয়েছে। রয়েছে বিপুল অঙ্কের খরচ।
চাঁদে রোভার নামানো পর্যন্ত ইসরোর যে একটা বিশাল অঙ্কের খরচ হয়েছে সেটাই স্বাভাবিক। এবার সেই খরচের সঙ্গে তুলনা হল দুর্গাপুজোয় রাজ্যসরকারের অনুদানের। সঙ্গত কারণেই এই তুলনা আসছে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার পুজো কমিটিগুলিকে গত কয়েক বছরে একটি টাকা অনুদান বাবদ দিয়েছে। এবার সেই অঙ্ক গতবারের তুলনায় ১০ হাজার করে বেড়ে ৭০ হাজার টাকা হয়েছে।
রাজ্যের সব প্রান্তের দুর্গাপুজো কমিটিকে এই অনুদান দান বাবদ রাজ্যসরকারের খরচ হচ্ছে ২৮০ কোটি টাকার মত। এছাড়া পুজো কমিটির বিদ্যুতের বিলে ছাড়ে খরচ হয় রাজ্যসরকারের।
এবার তো পুজো কমিটিগুলি রাজ্যসরকারের বিজ্ঞাপনও ভাল রকম পেতে চলেছে। এই বিদ্যুতের বিল ও বিজ্ঞাপন বাবদ রাজ্যসরকারের যে খরচ হবে তার অঙ্ক ৭০ কোটি টাকার মতন। ফলে রাজ্যসরকারের কোষাগার থেকে দুর্গাপুজোয় বেরিয়ে যাবে ৩৫০ কোটি টাকার মতন।
এবার আসা যাক চন্দ্রযান-৩-এর খরচে। চন্দ্রযান-৩-কে চাঁদে পাঠাতে ইসরোর মোট খরচ পড়েছে ৬১৫ কোটি টাকার মতন। হিসাব করে দেখা যাচ্ছে দুর্গাপুজোয় রাজ্যসরকারের এবারের খরচ ইসরোর চন্দ্রযান-৩-এর খরচের ৫৭ শতাংশ।
চাঁদে ভারতের পা দিতে যে খরচ হয়েছে তার ৫৭ শতাংশ অর্থ এবার রাজ্যসরকার কেবল দুর্গাপুজোয় খরচ করতে চলেছে। অন্তত হিসাব তাই বলছে।