কলকাতার পাশে ৩২০ বছরের ঐতিহাসিক বারুদের ঘর এবার সাজবে রিসর্টে
কলকাতার মধ্যে হোক বা আশপাশ, সর্বত্রই ইতিহাস ছড়িয়ে রয়েছে। ৩২০ বছরের পুরনো এক বারুদের ঘর তেমনই এক ইতিহাস যা এবার রিসর্ট হয়ে উঠতে চলেছে।
কলকাতা বন্দরে সে সময় অনেক বড় বড় জাহাজ আসত। বাণিজ্যের প্রয়োজনে ব্রিটিশরা সেই জাহাজগুলিকে আসতে দিলেও জাহাজে থাকা বারুদ নিয়ে কলকাতায় ঢুকতে দিত না। সুরক্ষার কারণেই এই বন্দোবস্ত। কে কি ভেবে আসছে তা তো জানা নেই! কিন্তু জাহাজে থাকা বারুদের কি হবে?
সে সময় বজবজের কাছে হুগলি নদীর ধারে মোয়াপুর বলে একটি জায়গায় ছিল বারুদ ঘর। কলকাতায় প্রবেশের আগে কলকাতা থেকে প্রায় ৪৮ কিলোমিটার দূরে এই জায়গায় জাহাজ নোঙর করত। তারপর সেই জাহাজে থাকা সব বারুদ এখানকার বারুদ ঘরে মজুত করা হত।
একটা নয়, এখানে একাধিক বারুদ ঘর ছিল। সেই বারুদ কতটা একটি জাহাজ থেকে নামানো হল তার হিসাব রাখা হত। এরপর জাহাজটি যখন ফিরতি পথে যেত, তখন ফের এখানে নোঙর করে এই বারুদ ঘর থেকে তাদের জাহাজ থেকে নামানো বারুদ ফের জাহাজে ভরে নিত। এরপর পাড়ি দিত সাগরের দিকে।
ইতিহাস বলছে এখনকার এই ঐতিহাসিক কিন্তু জরাজীর্ণ গাছপালা গজিয়ে যাওয়া, ইট বার করা ভগ্নপ্রায় বারুদ ঘরগুলির বয়স ৩২০ বছরের বেশি। যার ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে এর রক্ষণাবেক্ষণ এখনই জরুরি।
আর সেই পথেই হাঁটতে চলেছে কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। তারা এখানে পিপিপি মডেলে একটি রিসর্ট বানাতে চাইছে। কারণ এই বারুদ ঘর সংলগ্ন এলাকা কম নেই।
তবে এই রিসর্ট হবে বারুদ ঘরগুলিকে বাঁচিয়ে। তা যেমন ছিল তেমনই থাকবে। বরং তাদের রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। আর তা সহজেই হবে এগুলির আশপাশের উন্নতি হলে। তাহলে অর্থও আসবে। যা থেকে এই রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভব হবে।
এজন্য কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর কর্তৃপক্ষ এখন পিপিপি মডেলে রিসর্ট তৈরিতে প্রস্তুত এমন বেসরকারি সংস্থার খোঁজ করছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা