টাস্ক ফোর্স ঘুরল, সবজির দাম কমল কোথায়, জনতার ক্ষোভ বাড়ছে
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে অবিলম্বে সবজির দামে রাশ টানতে পথে নেমেছিল টাস্ক ফোর্স। কিন্তু সবজির দাম কমল কোথায়, প্রশ্ন নাজেহাল জনতার।
সবজির দামে আগুন। ফলে সাধারণ পটল, ঢেঁড়স, টমেটো, বেগুন, উচ্ছে কিনতেই নাজেহাল অবস্থা হচ্ছিল সাধারণ মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত, দরিদ্র মানুষের। তার ওপর লাগামছাড়া আলু, আদা, রসুনের দাম। পেঁয়াজের দামও চোখ রাঙাচ্ছে।
এভাবে টানা বেশ কিছুদিন চলার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন। টাস্ক ফোর্সকে নির্দেশ দেন ১০ দিনের মধ্যে যেন দাম নিয়ন্ত্রণে আসে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশর পরদিনই ঘুম ভেঙে টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা বেড়িয়ে পড়েন বিভিন্ন বাজারে। সেখানে দাম বাড়ানো নিয়ে বকাঝকাও করেন তাঁরা।
রাজ্য জুড়েই টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা বাজারে বাজারে ঘুরতে থাকেন। তারও কয়েকদিন কেটেছে। কিন্তু তাতে কাজ হয়েছে কি? আমজনতার কিন্তু দাবি, এত কিছু তো হল, দাম কমল কই!
দাম যে তেমন কমেনি তা বাজারে গেলেই বোঝা যাচ্ছে। এখনও বিভিন্ন বাজারে পটল, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে। টমেটো অনেক জায়গায় ১০০ টাকা কেজি। বেগুন তার চেয়েও বেশি।
বিনস কেজি প্রতি প্রায় ২০০ টাকা ছুঁই ছুঁই করছে। বাকি আনাজের দাম শুনে খালি বাজারের থলি নিয়ে না কিনেই হাঁটা দিচ্ছেন মানুষ। নেহাত যেটুকু না নিলেই নয়, সেটুকু আকাশচুম্বী দাম দিয়েই কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
এদিকে আলুর দাম সেই ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজিতেই আটকে আছে। আদা সেই ২০০ টাকা কেজিতে। রসুনের দাম বাড়তে বাড়তে অনেক বাজারে ৩৮০ টাকা কেজিতেও পৌঁছেছে। পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি।
টাস্ক ফোর্সের সদস্যরাই সংবাদসংস্থাকে জানাচ্ছেন আলু চাষিরা তাঁদের জানাচ্ছেন, তাঁরা ১৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করছেন। তাহলে এমন দাম কেন! মাঝে আলু মজুত করার খেলায় মেতেছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বলে মনে করছেন তাঁরা।
কিন্তু কারা তাঁরা? তাঁদের কে খুঁজে বার করবে? এদিকে সাধারণ বিক্রেতাদের দাবি হোলসেলাররা তাঁদের কাছে অনেক দাম চাইছেন। তাই তাঁদেরও চড়া দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
অন্যদিকে হোলসেরাদের দাবি, কম উৎপাদনের জন্য সবজির দাম বাড়ছে। এর মধ্যে পড়ে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। প্রশ্ন উঠছে এসবের মধ্যে পড়ে আর কতদিন এমন লাগামছাড়া বাজারদর সহ্য করতে হবে আম রাজ্যবাসীকে? সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বেড়েই চলেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা