আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে অন্য স্বাধীনতার বার্তা দিয়ে রাত দখলে নামছেন মেয়েরা
এ এক অভিনব উদ্যোগ। যে বার্তা স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতেই এক অন্য স্বাধীনতার বার্তা দিতে চলেছে গোটা দেশকে। গোটা বিশ্বকে।
আরজি কর কাণ্ডের নৃশংসতা, পাশবিকতা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। আবাসিক তরুণী চিকিৎসকের ওপর নির্মম অত্যাচার কাঁপিয়ে দিয়েছে প্রতিটি মানুষের মন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেও এ এক আলোচ্য হয়ে উঠেছে।
কলকাতা তো বটেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই প্রতিদিন পথে নামছেন চিকিৎসক থেকে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরা। দাবি একটাই, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। বুধবারও শ্যামবাজার ৫ মাথার মোড় থেকে আরজি কর হাসপাতাল পর্যন্ত প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়।
বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসক এবং পড়ুয়ারা হাতে হাত মিলিয়ে আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। সকাল থেকেই বিভিন্ন হাসপাতালে একই ছবি নজর কেড়েছে। তবে বৃহস্পতিবারের অন্যতম কর্মসূচির দিকেই এখন চেয়ে গোটা দেশ।
১৯৪৭ সালের ১৪ অগাস্টের মাঝরাতে ব্রিটিশ শাসন থেকে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। এবার সেই দিনেই রাত ১১টায় রাস্তায় নামছেন এ রাজ্যের মহিলারা।
দলমত নির্বিশেষে নারীদের নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে বাঁচার স্বাধীনতা অর্জন করতে তাঁদের এই মধ্যরাতে পথে নামা। মেয়েরা নামছেন রাত দখলে। শহর কলকাতায় রাত দখলের বার্তা দিয়ে মধ্যরাতে পথে নামছেন মহিলারা।
শুধু কলকাতা নয়, রাজ্যের প্রতিটি কোণায় এই আন্দোলনে শামিল হতে তৈরি নারীরা। দোষীদের শাস্তি, নারীর নির্ভয়ে থাকার অধিকারের দাবিতে সমাজ মাধ্যমে ডাক দেওয়া এই কর্মসূচি যে এমন আগুনের মত ছড়িয়ে পড়বে নারী মনে, সকলেই পথে নামার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবেন তা হয়তো ভাবতেও পারেননি যাঁরা এই ডাক দিয়েছিলেন তাঁরা।
শুভবুদ্ধি সম্পন্ন নারী পুরুষের এই আন্দোলন এক জোড়াল বার্তা যে দিতে চলেছে তা পরিস্কার। ১৫ অগাস্টের আগের রাতে নারীদের এই রাত দখলের পদক্ষেপ অশুভবুদ্ধির মানুষজনের জন্যও একটা কড়া বার্তা হয়ে থাকবে।
এদিন এক ইতিহাসের সাক্ষী হতে চলেছে গোটা বাংলা। যা চিরদিন ইতিহাস হয়ে থেকে যাবে। প্রতিবাদের শক্তি আজ প্রমাণিত হবে রাতের রাজপথে।