Kolkata

নবান্ন অভিযান ঘিরে তুলকালাম, বুধবার রাজ্যে ১২ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দিল বিজেপি

পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজ-এর ডাকে নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে বেলা থেকে চড়তে থাকা আন্দোলনের পারদ দফায় দফায় জ্বলে উঠল। রক্ত ঝরল পুলিশ থেকে আন্দোলনকারীর।

ফোরশোর রোড, হাওড়া ব্রিজ, প্রিন্সেপ ঘাট স্টেশন চত্বর, মহাত্মা গান্ধী রোড, সাঁতরাগাছি, মন্দিরতলা, পিটিএস, হেস্টিংস এমন নানা দিক থেকে একের পর এক মিছিল এগিয়ে এসেছে। লক্ষ্য ছিল নবান্ন। যদিও তার অনেক আগেই তাদের পথ আটকায় পুলিশ।

পুলিশের বিশাল বাহিনী ব্যারিকেড করে অপেক্ষাতেই ছিল বিভিন্ন রাস্তায়। সেখানে পৌঁছে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। পাল্টা জলকামান দিয়ে পিছু হঠানোর চেষ্টা করে পুলিশ। সঙ্গে চলে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোঁড়া।


কাঁদানে গ্যাস ও জলকামানে আন্দোলনকারীদের পিছু হঠতে দেখা যায়। কিন্তু ফের তাঁরা জাতীয় পতাকা হাতে এগিয়ে আসতে থাকেন। পুলিশ অনেক জায়গাতেই লাঠিচার্জ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।

বিভিন্ন দিক থেকে মিছিল এগোচ্ছিল। সব জায়গাতেই পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এদিন একদিকে যেমন আন্দোলনকারীদের অনেকে আহত হয়েছেন, তেমন পুলিশ আধিকারিকও আহত হয়েছেন। চণ্ডীতলার আইসি-র মাথা ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে। এছাড়াও বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন।


অন্যদিক অনেক জায়গাতেই আন্দোলনকারীদের রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায় আহত অবস্থায়। রক্তাক্ত হন বেশ কয়েকজন। এদিন আন্দোলন মূলত ছাত্রদের ডাকে হলেও বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষকে এই আন্দোলনে দেখতে পাওয়া গেছে। একাধিক মিছিল থেকেই ইট বৃষ্টি হয় পুলিশকে লক্ষ্য করে। পাল্টা পুলিশও লাঠিচার্জ করে।

এদিন গঙ্গার ২ পারে রণক্ষেত্রের চেহারা ছিল। গঙ্গাপারের কলকাতা ও হাওড়ার বিভিন্ন অংশ কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। দোকানপাট ২ পারেই ছিল বন্ধ।

যানবাহনের দেখা ছিলনা। নজরে পড়েছে কেবল পুলিশ আর আন্দোলনকারী। দুপুর যত গড়িয়েছে, আন্দোলনের পারদ চড়েছে। মিছিল বিভিন্ন দিক থেকে এসেছে। বারবার তৈরি হয়েছে উত্তেজনা।

মিছিলে পুলিশের শক্তি প্রয়োগের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বুধবার রাজ্য জুড়ে ১২ ঘণ্টার সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। অন্যদিকে এই ধর্মঘট ব্যর্থ করার পাল্টা ডাক দিয়েছে তৃণমূল। কুণাল ঘোষ এই ধর্মঘট হবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছেন।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button