
বালিগঞ্জে কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করল পুলিশ। বহুতলের সুরক্ষাকর্মী সহ বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সবকটি সিসিটিভি ফুটেজ। অকুস্থল অর্থাৎ যে পার্কিং লটে ঘটনাটি ঘটে সেখান থেকে ইতিমধ্যেই নমুনা সংগ্রহ করেছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞেরা। এদিকে মৃত আবেশ দাশগুপ্তের মা এই ঘটনায় শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছেন। গত ফেব্রুয়ারিতেই স্বামী হারানোর পর মাত্র ৫ মাসের ব্যবধানে ফের ছেলে হারানোর শোকে প্রায় অচেতন অবস্থায় শুয়ে রয়েছেন তিনি। চোখের জল বাধ মানছে না। তাঁর আর্জি পুলিশ তাঁর ছেলের হত্যাকারীকে খুঁজে বার করুক। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস ওই পার্টিতে উপস্থিত আবেশের ১৭ জন বন্ধু ও অন্যান্যদের মধ্যে কেউ অন্তত সত্যি কথাটা বলবেন। এঁদের একে একে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই আসল ঘটনাটা বেরিয়ে আসবে। এদিকে পুলিশ গতরাতেই আবেশের সবচেয়ে কাছের এক বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদও চলছে। গত শনিবার দুপুরে লেখক অমিত চৌধুরীর মেয়ের জন্মদিনের পার্টিতে যোগ দেওয়ার পর সানি পার্কের ফ্ল্যাটে ফিরে আবেশ ও তার বন্ধুরা সেই আবাসনের নিচের পার্কিং লটে মদ্যপান করছিল। পুলিশ সেইসব মদের বোতল ও গ্লাস উদ্ধার করেছে। চলছিল হৈ-হুল্লোড়ও। অভিযোগ সেইসময়েই আবেশের সঙ্গে তার এক বন্ধুর ঝগড়া বাধে। তখনই ভাঙা বোতলের আঘাতে মৃত্যু হয় আবেশের। হাতের শিরা কেটে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরেই আবেশের মৃত্যু হয় বলে মনে করছে পুলিশ। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে অনেক বিষয়ই পরিস্কার হয়ে যাবে।