নববর্ষের প্রাক্কালে খুলে গেল কালীঘাট স্কাইওয়াক, মন্দিরে পৌঁছনো এখন আরও সহজ
দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ভক্তদের সহজে পৌঁছনোর জন্য দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক তৈরির সময়ই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন কালীঘাটেও এমন স্কাইওয়াক চান তিনি। নববর্ষের প্রাক্কালে সেই স্কাইওয়াকের উদ্বোধন হল।

দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পৌঁছনোর জন্য স্কাইওয়াক ভক্তদের মন্দিরে পৌঁছনো সহজ করে দিয়েছে। সেই দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি কালীঘাট মন্দিরে পৌঁছনোর জন্যও এমনই এক স্কাইওয়াক চান।
সেইমত প্রস্তুতি শুরু হয়। কিন্তু হকার সমস্যা কালীঘাট স্কাইওয়াকের কাজ থমকে দেয়। পরবর্তীকালে অবশ্য হকারদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মেটানো হয় প্রশাসনের তরফ থেকে।
কাজ শুরু হয় জোরকদমে। অবশেষে কালীঘাট স্কাইওয়াক তৈরি হল। বাংলা নববর্ষের ঠিক আগে চড়কসংক্রান্তির সন্ধেয় উদ্বোধন হল কালীঘাট স্কাইওয়াকের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করেন।
স্কাইওয়াকটির প্রধান প্রবেশপথ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রোড দিয়ে। এটি সোজা মন্দিরে পৌঁছে দেবে ভক্তদের। ৪৩৫ মিটার দীর্ঘ এই স্কাইওয়াক। চওড়াও যথেষ্ট। প্রস্থে এটি ১০.৫ মিটার। ফলে বিশেষ বিশেষ দিনে মন্দিরে ভক্তদের ভিড় বেশি হলেও সমস্যা হবেনা।
স্কাইওয়াকে রয়েছে ৩টি সিঁড়ি। এছাড়া রয়েছে ২টি চলমান সিঁড়ি এবং ৩টি লিফট। ফলে সব বয়সের মানুষই এই স্কাইওয়াকে হেঁটে সহজেই মন্দিরে পৌঁছতে পারবেন।
এটি উদ্বোধনের পাশাপাশি নববর্ষে সংস্কার হওয়া কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে আসতে পারবেন ভক্তরা। নতুন সাজে দেখা যাবে কালীঘাট মন্দির। এটাও বাংলা নববর্ষে একটা পরম পাওনা।
এদিন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি হকার্স কর্নারের উদ্বোধনও করেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে চেনা কালীঘাটকে নববর্ষের প্রথম দিনে নতুন করে নবরূপে পাবেন ভক্তেরা।