
বৃষ্টিভেজা রাতে জমিয়ে ঘুমটা আর হল না তোপসিয়ার রোডের ক্রিস্টোফার রোডের বাসিন্দাদের। আশা, আশঙ্কা, হাসিঠাট্টা, অনুনয় বিনয়। এসব করেই গোটা রাত ছাতা মাথায় কাটিয়ে দিলেন তাঁরা। সঙ্গে জেগে রইলেন দমকলের আধিকারিকরা। এখানেই একটি পুকুর ঘেঁষা নিমগাছে আচমকাই উঠে পড়ে এক যুবক। নিজেকে জাপানের বাসিন্দা বলে পরিচয় দেয় সে। জানায় মাস খানেক হল কলকাতায় এসেছে সে। আর আসার পরেই বিপত্তি। পাসপোর্ট হারিয়েছে তার। বড় নিম গাছ। তার মগডালে ভিনদেশীর পাগলামি দেখতে গভীর রাতেও ক্রমশ বেড়েছে ভিড়। সকলেই তাকে নেমে আসতে অনুরোধ করছিলেন। কিন্তু সমস্যা অন্য। জাপানি ওই যুবকের দাবি জাপানি পুলিশ না এলে সে গাছ থেকে নামবে না। কলকাতার বুকে জাপানি পুলিশ কোথায় পাওয়া যাবে? ফলে দমকল শুরু করল বোঝান। কিন্তু নাছোড় ওই যুবক। তার সর্বস্ব খোয়া গেছে। তাই জাপানি পুলিশ ছাড়া আর কাউকেই ভরসা করতে পারছে না সে। এভাবে টানা ৯ ঘণ্টা চলার পর ল্যাডারে করে গাছের মগডালে পৌঁছয় দমকল। চেষ্টা শুরু হয় তাকে টেনে নামানোর। যখন ওই যুবক দেখে আর কিছুই করার নেই, তখন আচমকাই পাশের পুকুর লক্ষ্য করে ঝাঁপ দেয় সে। এমন একটা সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই আগে থেকে পুকুরের ওপর জাল বিছিয়ে রেখেছিল দমকল। অবশেষে সেই জালেই ধরা পড়ল জাপানি। শেষ হল একপ্রস্ত নাটকের।