Kolkata

শ্রাবণে কালবৈশাখী! স্তব্ধ কলকাতা

বৃহস্পতিবার প্রচণ্ড বৃষ্টিতে নাজেহাল হল কলকাতা। সকাল থেকেই নিম্নচাপের বৃষ্টি চলছিল। তবে সন্ধের নামার পর হঠাৎই ভয়ংকর ঝড়। শ্রাবণের শেষ দিনে এমন কালবৈশাখীর দাপট স্তব্ধ করে দিল শহরের স্বাভাবিক গতি। বৃষ্টি টানা হলেও জল দাঁড়িয়ে যাওয়ার মত অবস্থা কখনই হয়নি। কিন্তু ঝড়ে গাছ উপড়ে রাস্তার হাল অনেক জায়গায় বেহাল হয়ে যায়। অনেক জায়গায় গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে যানচলাচল যায় থমকে। বেলেঘাটা, কসবা, আলিপুর, বাইপাস, রবীন্দ্র সরণীতে গাছ পড়েছে। গাছ পড়ে থমকে যায় ধর্মতলাও। ঝড়ে গাছ উপড়ে ৩ জনের প্রাণ গেছে। রাত ৮টার পর ঝড় কিছুটা থামলেও বৃষ্টি চলেছে একটানা। এদিকে প্রবল ঝড়-বৃষ্টির জেরে সন্ধের পর থেকই শহরের রাস্তা থেকে উধাও হয়ে যায় বাস। অনেক বাস রাস্তায় গাছ পড়ে থাকার কারণে আটকে পড়ে। ফলে প্রায় সব স্টপেজেই মানুষের ভিড় নজর কেড়েছে। মাথায় ছাতা দিয়ে বহুক্ষণ বাসের জন্য অপেক্ষা করেছেন বাড়িমুখী আমজনতা। কিন্তু বাস মেলেনি। যাও বা এসেছে তাতে ওঠা সম্ভব হয়নি। অনেক বাস ভিড়ে এতটাই ঠাসা অবস্থায় এসেছে যে সেগুলি স্টপেজে দাঁড়ায়নি। সন্ধে পেরিয়ে রাত যত গড়িয়েছে ততই অবস্থা শোচনীয় চেহারা নিয়েছে। অনেক মানুষ বাসে চড়তে না পেরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হেঁটেই বাড়ি ফিরেছেন। যাঁরা উঠতে পেরেছেন তাঁদের অনেকে ভিড়ের চাপে অসুস্থ বোধ করেছেন। স্টপেজে দাঁড়িয়ে অনেকেই বুঝতে পারছিলেন না বাড়ি কীভাবে পৌঁছবেন! কারণ ঘড়ির কাঁটা ঘুরলেও গন্তব্যের বাস মেলেনি। বাস রাস্তায় আরও চাপ বাড়িয়েছে ট্রেনের সমস্যা। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় বারুইপুর ও মল্লিকপুরের মাঝে ওভারহেড লাইনে গাছ পড়ে যাওযায় ট্রেন অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। উত্তর শাখায় ট্রেন চলেছে ধীরে। ফলে স্টেশনে স্টেশনে অজস্র মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতন। সব মিলিয়ে শ্রাবণের শেষ প্রান্তে এসে শহর অচল করে দেওয়া বর্ষা দেখল কলকাতা।



Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button