
১৪ দফা দাবিতে ১১টি ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা ধর্মঘটের কোনও প্রভাবই পড়ল না কলকাতায়। সকাল থেকেই অন্যান্য দিনের মত খুলেছে দোকানপাট। চলেছে বাস। তবে যাত্রী সংখ্যা ছিল অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম। ব্যক্তিগত গাড়ি রাস্তায় কম বেরিয়েছে। ফলে রাস্তা কিছুটা ফাঁকা লেগেছে। কলেজ স্ট্রিট পাড়ায় খোলেনি কোনও বইয়ের দোকান। তবে নবান্ন বা মহাকরণে সরকারি ফতোয়ায় কাজ হয়েছে। হাজিরা ছিল স্বাভাবিক। বরং অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা আগেই অনেকে পৌঁছে গেছেন অফিসে। একই ছবি ধরা পড়েছে অন্যান্য সরকারি অফিস ও সরকারি স্কুলে। হাজিরা ছিল স্বাভাবিক। তবে স্কুলগুলিতে পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল বেশ কম। অন্যদিকে সরকারি অফিসের তুলনায় বেসরকারি অফিসে হাজিরা কিছুটা কম। অনেকেই শনিবার ছুটি থাকায় টানা ৩ দিনের ছুটি উপভোগের সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছেন। যে কথা মাথায়ে রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ধর্মঘট ডাকে, অর্থাৎ শুক্রবার বা সোমবার দেখে ধর্মঘট ডাকা হয়। যাতে বহু মানুষ টানা ছুটির সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন। তাতে ধর্মঘট সফল হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে। তথ্যপ্রযুক্তি তালুক সেক্টর ফাইভে এদিন হাজিরা কিছুটা কম হলেও কাজকর্ম হয়েছে স্বাভাবিক নিয়মে। বাসও ছিল পর্যাপ্ত। কোনও ঝুঁকি না নিয়ে এদিন রাস্তায় প্রচুর পুলিশি বন্দোবস্ত চোখে পড়েছে। টুকটাক যেখানেই ধর্মঘটীরা রাস্তা অচল করার চেষ্টা করেছেন, সেখানেই দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। এদিন বিদেশ সফরে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমানবন্দরে হাসিমুখেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়ে যান, ধর্মঘট হচ্ছে না।