
পার্ক স্ট্রিট গণধর্ষণ কাণ্ডের ২ মূল অভিযুক্ত কাদের খান ও তার সাগরেদ আলি খানকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সাড়ে ৪ বছর পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়ানোর পর অবশেষে তাদের গ্রেফতার করতে সমর্থ হল পুলিশ। শুক্রবার রাত ১টা নাগাদ গ্রেটার নয়ডার আলফা ২ এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। কলকাতা পুলিশের বিশেষ দলকে এই গ্রেফতারিতে পূর্ণ সহযোগিতা করে স্থানীয় কাসনা থানার পুলিশ আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের বিশেষ দলের কাছে খবর আসে কাদের ও আলিকে গ্রেটার নয়ডার কাছে দেখা গেছে। কলকাতা পুলিশ সেইমত স্থানীয় থানাকে খবর দেয়। তারপর শুরু হয় নজরদারি। ইতিমধ্যে কাদের ও আলির পুরনো চেহারা অনেকটাই বদলেছে। হয়তো আত্মগোপন করতে নিজেরাই তা বদলে ফেলে। পুলিশ জানতে পারে ভাগ্নে ফয়জলের বাড়িতে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে কাদের ও আলি। পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার পর তৈরি হয় পুলিশ। বৃহস্পতিবার জামিয়ানগরে ফয়জলের বোনের বাড়িতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেয় ফয়জল, কাদের ও আলি। সেখানে রাত পর্যন্ত কাটিয়ে গভীর রাতে ৩ জন বাড়ি ফেরে। ততক্ষণে বাড়ির চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে পুলিশ। ৩ জন বাড়ি ফিরতেই পুলিশ হাজির হয় দরজায়। তখন ঘড়িতে প্রায় রাত ১টা। নিস্তব্ধ এলাকায় এত রাতে দরজায় কড়া নাড়ার আওয়াজে কিছুটা চমকে যায় তারা। তারপর দরজা খুলে পুলিশ দেখতেই কাদের আর আলি ছুট দেয় উপরে। পুলিশ পিছু ধাওয়া করে। ফিল্মি কায়দায় শুরু হয় লুকোচুরি খেলা। এরপর পাঁচতলায় পৌঁছে যখন ২ জন বুঝতে পারে আর পালানোর পথ নেই। পুলিশ তাদের ঘিরে ফেলেছে। তখন পাঁচতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে তারা। কিন্তু তার আগেই পুলিশ তাদের ধরে ফেলে। শুক্রবার সকালে ট্রানজিট রিমান্ডে ধৃতদের কলকাতায় নিয়ে আসে পুলিশ। বেলায় তাদের ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পেশ করা হলে আদালত তাদের ১৪ দিনের পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।