যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী মিতা মণ্ডলের রহস্যমৃত্যুর তদন্তের দায়িত্ব নিল সিআইডি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই সিআইডিকে এই মৃত্যুর রহস্যের তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে। সোমবার নবান্নে এমনই জানালেন মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমত এদিনই কুশবেড়িয়ার ঘটনাস্থলে হাজির হচ্ছে সিআইডি। স্থানীয় থানা থেকে কেস ডায়েরিও নিয়ে নিচ্ছে তারা।
গত বিজয়া দশমীর সকালে উলুবেড়িয়ার একটি হাসপাতাল থেকে উদ্ধার হয় মৃত মিতা মণ্ডলের দেহ। পুলিশ জানতে পারে নবমীর রাতে ঠাকুর দেখাকে কেন্দ্র করে মিতার সঙ্গে তার স্বামী রাণা মণ্ডলের অশান্তি হয়। মণ্ডল পরিবারের দাবি, ভোরে তারা দেখে মিতা তাঁর ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন। দেহ নামাতে গিয়ে খাটের কোণায় ধাক্কা লেগে মিতার মুখে ও মাথায় চোট লাগে বলেও দাবি করে তারা। যদিও মিতার পরিবারের দাবি কোনও আত্মহত্যা নয়, তাঁদের মেয়েকে খুন করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মাত্র ৬ মাস হল বিয়ে হয়েছে মিতার। পরিবারের দাবি, বিয়ের পর থেকেই মিতা অশান্তিতে কাটাচ্ছিলেন। পুজোর ঠিক মুখে বাবার কাছে এসে তিনি ১ লক্ষ টাকাও চান। কিন্তু তখনকার মত তা মিতার হাতে তুলে দেওয়ার সামর্থ্য ছিলনা মিতার বাবার। তারপরই নবমীর রাতে মিতার রহস্যমৃত্যু নিয়ে ক্ষুব্ধ দাস পরিবার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের চরম শাস্তির দাবি জানান। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মিতার স্বামী রানা মণ্ডল ও শ্বশুর বিজেন্দ্র মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এখনও পলাতক শাশুড়ি ও দেওর।