তাঁদের লক্ষ্য করে চকলেট বোম ছোঁড়ার প্রতিবাদ করায় এক তরুণের মাথা ফাটিয়ে দিল দুষ্কৃতিরা। আর এক তরুণের ঘাড়ে আঘাত করে তারা। এখানেই শেষ নয়, তাঁদের বাঁচাতে গেলে সঙ্গে থাকা ২ তরুণীকেও চুলের মুঠি ধরে মারধর করে কয়েকজন যুবক। আক্রান্তদের অভিযোগ গোটা বিষয়টাই ঘটে কর্তব্যরত ২ পুলিশ কর্মীর সামনে। কিন্তু সব দেখেও এগিয়ে আসেননি তাঁরা। আক্রান্ত এক তরুণের আরও অভিযোগ থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে অভিযোগপত্রে মাটাডোরের নম্বর থেকে ক্লাবের নাম, কোনও কিছুই লিখতে তাঁদের বারণ করা হয়। এভাবে পুলিশের সামনে যদি সাধারণ মানুষ ন্যায্য প্রতিবাদ করতে গিয়ে আক্রান্ত হতে থাকেন তাহলে সাধারণ মানুষ কাকে ভরসা করে অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেন? কাদের ভরসাতেই বা রাস্তায় নিশ্চিন্তে চলাফেরা করবেন? প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার সন্ধেয়। কাদাপাড়ার কাছে একটি মাল্টিপ্লেক্স থেকে সিনেমা দেখে বেরিয়ে ফুলবাগানমুখী অটোর জন্য অপেক্ষা করছিলেন ২ তরুণ ও ২ তরুণী। এই সময়ে তাদের সামনে দিয়ে মাটাডোরে ঠাকুর ভাসান দিতে যাচ্ছিল স্থানীয় একটি ক্লাবের সদস্যরা। অভিযোগ মাটাডোর সামনে আসতে সেখান থেকে ২ তরুণীকে লক্ষ করে একটি চকলেট বোম ছোঁড়া হয়। যা এসে পড়ে এক তরুণের সম্পর্কে বোন ও বান্ধবীর সামনে। স্বভাবতই এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন তাঁরা। অভিযোগ তাতেই ক্ষেপে ওঠে ক্লাব সদস্যরা। মাটাডোর থেকে নেমে কাছেই একটি উড়ালপুলের তলায় নিয়ে গিয়ে এক তরুণকে বেধড়ক মারতে শুরু করে জনা ২০ যুবক। ওই তরুণকে বাঁচাতে এসে মার খেতে হয় অন্য তরুণ ও ২ তরুণীকে। অভিযোগ এক তরুণীর মাথার চুলের মুঠি ধরে তাঁকে মারধর করে ৪-৫ জন যুবক। এই ঘটনা যখন ঘটছে তখন কাছের একটি পুলিশ কিয়স্কে দাঁড়িয়েছিলেন ২ পুলিশ কর্মী। কিন্তু তাঁরা এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ। বরং ৪ জনকে রক্ষা করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযুক্তদের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। কিন্তু এভাবে এই অভিযুক্তরা যদি ছাড় পেয়ে যায়, তবে আগামী দিনে তাদের বেপরোয়া মনোভাব আরও বাড়তেই পারে। সেক্ষেত্রে আরও বড় বিপদ এরা ফেলতে পারে। তখনও কী প্রশাসন এভাবেই নিশ্চুপ থাকবে? প্রশ্ন কিন্তু উঠছে।