বাবা অসুস্থ। হার্টের অসুখ। সঙ্গে হাই ব্লাড সুগার। রাতে বাবার জন্য কিছু অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ বাড়িতেই মজুত রাখতে হয়। কিন্তু ভুলবশত সেটা রবিবার আনতে ভুলে গিয়েছিলেন বাড়ির সকলে। বিষয়টা নজরে পড়ে রাতে। তখন ১০টা বেজে গেছে। কিন্তু ওষুধ তো লাগবেই। অসুস্থ বাবার কথা ভেবে এক মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ বন্ধুকে ফোন করেন মেয়ে। তারপর রাতেই বেরিয়ে পড়েন ওষুধের খোঁজে। বাড়ির অদূরেই একটি পুকুর। তার পাশ দিয়ে রাস্তা। সেখানেই বসে মদ্যপান করছিল জনা ৪-৫ যুবক। অভিযোগ পুকুরের ধার দিয়ে যাওয়ার সময় বছর ছাব্বিশের ওই তরুণীকে দেখে কটূক্তি করতে থাকে তারা।
রুখে দাঁড়ান ওই তরুণী। আর তাতেই নেমে আসে বিপদ। মত্ত যুবকরা প্রথমে তার হাত ধরে টানাটানি করতে শুরু করে। পরে ঘুসি মেরে গালের একটা অংশ ফাটিয়ে দেয়। বিপদ বুঝে ওখান থেকেই মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ বন্ধুকে ফোন করেন ওই তরুণী। সেই বন্ধু ও আরও এক যুবক তরুণীকে রক্ষা করতে সেখানে হাজির হলে তাদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে নিমতা থানায় মত্ত যুবকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। তদন্তে নেমে রাজকুমার রায় নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।