৯৯ শতাংশ মানুষের হয়রানি হচ্ছে। দোকান থেকে ধারে জিনিস কিনতে হচ্ছে। ৫০০, ১০০০ টাকার নোট দিলে দোকানদার নিচ্ছে না। একটা দুর্নীতি ঢাকতে আর এক দুর্নীতি করল মোদী সরকার। এদিন ফের রাতারাতি ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মোদী সরকারকে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালো টাকা বা জাল টাকা রুখতে মোদীর পদক্ষেপ ভাল কি খারাপ পরের কথা। কিন্তু বাস্তবে মানুষ কিন্তু বুধবার চরম হয়রানির শিকার। সকালে বাজারে গিয়ে অনেকেই অভ্যাসমত ৫০০ বা ১০০০ টাকার নোট ধরিয়েছেন বিক্রেতাকে। কিন্তু বিক্রেতার এদিন অন্য মূর্তি। সেই নোট ফিরিয়ে ১০০-র নোট চেয়েছে তারা। আর সেখানেই বিপত্তি। লেগেছে ঝগড়া। বাজার দোকানে সব ক্রেতা বিক্রেতাই মুখ চেনা। ফলে একটা সুসম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু নোট বিভ্রাট সেই সম্পর্কে এদিন চিড় ধরিয়ে দিয়েছে। ক্রেতা বিক্রেতা ঝগড়ার পর অনেকে ধারে জিনিস নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। অনেকে আবার খালি ব্যাগ নিয়ে।
রোগী নিয়ে দূরদূরান্ত থেকে মানুষজন এসে পড়েছেন মহা সমস্যায়। বেসরকারি হাসপাতালগুলি ৫০০ বা ১০০০ টাকার নোট নিতে রাজি হয়নি। ফলে তাঁদের অনেককেই মুমূর্ষু রোগী নিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হয়েছে. অনেক জায়গায় এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দিনভর চলেছে ব্যবসা। ৫০০ বা ১০০০ টাকার নোট দিলে তা ভাঙিয়ে দিয়েছে তারা। কিন্তু বিনিময়ে কেটে নিয়েছে মোটা টাকা কমিশন। ৫০০-এ মিলেছে ৩৫০ বা ৪০০ টাকা। আর ১০০০ টাকায় ৮৫০ বা ৮০০ টাকা! ফলে মওকা বুঝে এসব কারবারিদেরও পোয়া বারো। এদিকে বেড়াতে গিয়ে চরম সমস্যা পড়েছেন পর্যটকেরা। খাবার দোকান থেকে গাড়িঘোড়া, কোথাও ৫০০ বা ১০০০ টাকার নোট নিতে না চাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে তাঁদের। অনেকে টাকার অভাবে খাবারও কিনতে পারেননি।